নিজস্ব প্রতিবেদক:
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে পরিচালিত সব ধরনের অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে ইভ্যালির ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি লেনদেনের চেক বা রশিদের কপিও চেয়েছে সংস্থাটি। চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে। গত বুধবার ব্যাংকগুলোকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয় বিএফআইইউ। চিঠিতে বলা হয়েছে, ইভ্যালি ডটকম’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে পরিচালিত সব ধরনের অ্যাকাউন্টের তথ্য পাঠাতে হবে। ২০২০ সাল থেকে তাদের হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, ৫০ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব জমা ও উত্তোলনের ক্ষেত্রে জমা রশিদ বা চেকের কপি (ওয়াক-ইন কাস্টমারের ছবিযুক্ত আইডিসহ) পাঠাতে হবে। এসব হিসাবের নমিনির তথ্য এবং নমিনিদের নামে কোনও অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হলে তাও জানাতে বলা হয়েছে। তাদের নামে এফডিআর, ঋণ হিসাব, এলসি থাকলে সব ধরনের কাগজপত্রসহ তথ্য দিতে হবে। হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, টিপি ও এ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের দলিল পাঠাতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের আগস্টে ইভ্যালি এবং এর চেয়ারম্যান ও এমডির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালির দায় ও সম্পদের তথ্য, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ ও দেনা পরিশোধের পরিকল্পনা জানাতে চেয়ে গত ১৩ আগস্ট চিঠি দেয়। এর উত্তরে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের ব্যবসায়িক দেনার পরিমাণ ৫৪৩ কোটি টাকা। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে উঠে আসে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের কাছে ইভ্যালির দায়ের পরিমাণ ৪০৩ কোটি টাকা। আর কোম্পানির চলতি সম্পদের মূল্য ৬৫ কোটি টাকা। ওই প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করে, গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি টাকা আগাম নিয়ে পণ্য সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন
অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়