March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 22nd, 2021, 8:33 pm

ই-কমার্সে প্রতারণার প্রাথমিক দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের: অর্থমন্ত্রী

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠান করার সময় কারও না কারও ছাড়পত্র নিয়েই করা হচ্ছে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে কমার্স মিনিস্ট্রি। তাদের প্রাইমারিলি দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের সঙ্গে অন্য যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের সবারই আমি মনে করি দায়িত্ব নেওয়া উচিত। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ই-কমার্সে প্রতারণা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলব না। মূলত কাজটি এখন আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা আছে, তারা এসব বিষয় নিয়ে আসে আমাদের এখানে। আইটির বিষয় আছে, সেখানে আইসিটি মিনিস্ট্রি আছে, তারাও দায়িত্ব নেবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মধ্যে তৈরি করে মানুষকে ঠকায়। এটা কিন্তু চলে আসছে। আগে যেভাবে হতো, সেটি এখন ভিন্ন আঙ্গিকে আসছে। আগে ম্যানুয়ালি করতো, এখন ইলেক্ট্রিক্যালি করছে। ডিজিটালাইজড ওয়েতে করা হচ্ছে। মানুষ বিশ্বাস করে এখন, কতদিকে নিয়ন্ত্রণ করবে? সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে অবশ্যই। সরকারই দায়িত্ব নেবে। সরকার দায়িত্ব এড়াবে কেন? ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বিভিন্ন অফিস ঢাকার বাইরেও করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বাইরে অফিস করা হবে কি না সেটা অন্য মন্ত্রণালয়গুলো বলতে পারবে। যে অফিসগুলো আছে, আমরা কোনো একসময় ঢাকায় এসেছি। আমরা লেখাপড়া, চাকরি সব করেছি ঢাকায়। আগে ঢাকার বাইরে কিছু ছিল না। আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বলেছি ঢাকার মধ্যে যেসব সুযোগ সুবিধা থাকবে পর্যায়ক্রমে সেই সুযোগ-সুবিধা আমাদের উপজেলা-জেলা লেভেলে নিয়ে যাবো। সেভাবেই কাজ হচ্ছে। এখন আমরা সেজন্য বারবার বলে আসছি, শহর আর গ্রামের যে ফারাক সেটা থাকবে না। ক্রমান্বয়ে এ ফারাক কমে আসবে। তিনি বলেন, আমরা চাই গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখার জন্য। উপজেলার মানুষকে উপজেলায় রাখার জন্য। এজন্য গ্রামের অবকাঠামো, গ্রামীণ মানুষের জন্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া, আরও অনেক কিছু করতে হবে। সেটি আমরা করে যাচ্ছি। এখন গ্রামের দিকে তাকালে দেখবেন অনেক কিছুই এখন গ্রামে আছে। গ্রামে অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। রাস্তা, হাসপাতাল সবই আছে। আমি মনে করি যে সুযোগ-সুবিধা থাকলে তারা শহরে আসবে না। আগে দেখার জন্য ঢাকায় আসত, এখন কক্সবাজার যায়। কিছুদিন পর পদ্মা দেখার জন্য মাওয়া যাবে। ভ্রমণের জন্য ঢাকায় আসত, এখন আর ঢাকায় আসবে না। এখন অন্য জায়গায় যেতে আমরা উৎসাহিত করি।
সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর ফলে প্রান্তিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সঞ্চয়পত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সুদের হার কমানো হয়েছে। আমরা রেটটি রেখেছিলাম যারা পেনশনার আছে এবং যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তাদের জন্য। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম এখানে তুলনামূলক ইন্টারেস্ট একটু বেশি। এর ফলে সবাই এখানে চলে আসছে। এতে আমাদের অর্থনীতির অন্যান্য চালিকা শক্তিগুলো অচল হয়ে যাচ্ছে। এখানে ইন্টারেস্ট রেট কমানোর কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র ডিপোজিট যারা রাখেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিটে সুদের হার কমানো হয়নি। সরকার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরুৎসাহিত করবে কেন? যাদের উৎসাহিত করা দরকার তাদের উৎসাহিত করতে চাই। এখন যদি এক-দেড় কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র নিয়ে আসে সেটা কী আমরা গ্রহণ করব? এটা তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছি এক লাখ, দুই লাখ, পাঁচ লাখ, ১৫ লাখ, ২৫ লাখ, ৩০ লাখ টাকার ডিপোজিট। আবার যদি বলেন ক্ষুদ্র ডিপোজিট বেশি রাখেন, সেটাও মানি আমরা। তবে এতে করে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর ফলে কী পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে যে সমস্ত ডিপোজিট রাখা হয় তাদের সঙ্গে মিল রেখেই এটি করা হয়েছে। এখনো সঞ্চয়পত্রে ইন্টারেস্ট অন্যান্যের তুলনায় একটু বেশি। আমরা সবকিছু বিবেচনায় প্রান্তিক বিনিয়োগকারীর স্বার্থ দেখেছি এবং সবকিছু বিবেচনায় রেখে আমরা ১৫ লাখ পর্যন্ত বিনিয়োগে হাত দেনি। আগের মতোই রেখেছি। ১৫ লাখের ওপরে যেগুলো আছে সেগুলো কিছুটা কমেছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, কখনো বাড়বে, কখনো কমবে। প্রয়োজনে আবার বাড়তেও পারে।