April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, May 14th, 2021, 12:47 am

ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা ফয়েজীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিউজ ডেক্স :

হাটহাজারী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণীর আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আফজারুল হক টুটুল বাংলানিউজকে জানান, জাকারিয়া নোমান ফয়েজীকে জবানবন্দি নিতে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালতে সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে গত ৬ মে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় এক নারী বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলাটি দায়ের করেন।

গত শনিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

মামলার এজাহারে, গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয়। ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত চ্যাটিং হতো তাদের। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে হাটহাজারীর কনক বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় বাসা ভাড়া করে দেন ফয়েজী। দীর্ঘ এক বছর ওই ভাড়া বাসায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

গত বছর হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে খালার বাসায় চলে আসার পরও বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে গিয়ে সুকৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই মো. মুকিব হাসান।

গত ৫ মে বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে গত ৬ মে বৃহস্পতিবার আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গত ২৬-২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকালে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ রাতে থানায় ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়। হাটহাজারী থানায় ভূমি অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া হাটহাজারী থানায় হামলা ও ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ, স্থানীয় অস্ত্র ব্যবহার এবং উপজেলা ডাকবাংলো ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।