নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা সেতুর মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৭১ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অগ্রগতি ৪০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মূল হলো সড়ক। আমরা চাই একদিনে যেন সড়ক-রেলের উদ্বোধন করা যায়। সমন্বয়ের চেষ্টা করছি। কোনো কারণে একদিনে উদ্বোধন করতে না পারলে দ্বিতীয় একটা চিন্তা করে রেখেছি। রেলপথ মন্ত্রী বলেন, সেতুর উপরে আমাদের কাজ শেষ করতে ৬ মাস সময় লাগবে। সেতু কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ করার অনুমতি দেয়, তাহলে একই দিনে সেতুটি দিয়ে সড়ক ও রেল পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, মূল পদ্মা সেতুর ওপর রেলপথ বসানোর অংশটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তবে সেতু বিভাগ এখন গ্যাস, বিদ্যুৎ লাইনসহ অন্যান্য ইউটিলিটির কাজের জন্য অনুমতি দিয়েছে। তাদের কাজ শেষ হলে সবশেষ রেলের কাজের অনুমতি দেবে। তবে কোনও কারণে সম্ভব না হলে অন্তত আগামী বছরের মার্চের মধ্যে অনুমতি চায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী বলেন, কোনও কারণে সেতু কর্তৃপক্ষ কাজের অনুমতি দিতে না পারলে, আগামী মার্চেও যদি অনুমতি দেওয়া হয়- তাহলে আমরা আগামী বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে রেলপথ উদ্বোধন করতে পারবো। কিন্তু তাও সম্ভব না হলে জুনে সেতু চালু করার পর রেলের কাজ করলে কারিগরি জটিলতা হতে পারে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে রেল সংযোগ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পে এখন গ্যাসলাইন স্থাপন, প্যারাপেট, ভায়াডাক্ট কাজ চলছে। প্রকল্পের মাওয়া ও ভাঙ্গা পর্যন্ত ভায়াডাক্ট-২, ভায়াডাক্ট-৩ ও মূল সেতু মিলিয়ে রেল প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাওয়া ভায়াডাক্ট-৩ এর কাজ শেষে রেল চলাচলে প্রস্তুত হয়েছে।
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ