April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 8th, 2021, 8:39 pm

বগুড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক অধ্যক্ষ নিহত

জেলা প্রতিনিধি:

বগুড়ার শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাওলানা মো. লুৎফর রহমান (৭০) মাদ্রাসার এক সাবেক অধ্যক্ষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার ছেলে ও ছোট ভাই। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লুৎফর রহমান উপজেলার গাড়ীদহ মডেল ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের হাছেন আলী প্রামাণিকের ছেলে। স্থানীয় নগর জে এম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। নিহতের স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে মামুনুর রশিদ ও আবদুল মান্নানের ১৯ শতক জায়গা রয়েছে। আর তার পাশের জমিটির মালিক মো. লুৎফর রহমান। বেশকিছুদিন ধরেই মামুন ও মান্নান তাদের পাশের জমিটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে লুৎফর রহমানের প্রায় আট শতক জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সেখানে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা। জানা যায়, জমি দখলের খবর পেয়ে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লুৎফর রহমানের ছোট ভাই পল্লী চিকিৎসক মাহবুবার রহমান ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তার ভাইয়ের জায়গায় অবৈধভাবে দেওয়া বাঁশের বেড়া অপসারণ করে সেখানে গাছের চারা রোপণ করা শুরু করেন তিনি। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ মামুন ও মান্নানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে মাহবুবকে মারধর করেন। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান লুৎফর রহমান ও তার ছেলে মশিউল আলম। এ সময় প্রতিপক্ষের সশস্ত্র লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। তাদের বেধড়ক মারধর করা হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাওলানা লুৎফর রহমান। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এরপর আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের ছেলে মশিউল আলম অভিযোগ করে বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রতিপক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারধর শুরু করে। এ সময় আমার বৃদ্ধ বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সেখানেও তার মাথায় প্রচ- আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আমার বাবা মারা যান। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছেন অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ ও আবদুল মান্নান। শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাচ্চু বিশ্বাস জানান, ঘটনার পরপরই নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।