July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 26th, 2021, 8:27 pm

অনলাইন শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন চায় ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের মহামারিকালে ঘরে বসে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন যেন যথাযথভাবে করা হয়, সে বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় অনলাইনে পাঠদানের মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যায়ন। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন যেন সঠিক হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মূল্যায়ন নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন দেখা দিলে অনলাইন শিক্ষার অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে গত বুধবার রাতে আয়োজিত ‘ভার্চুয়াল স্পিকার প্রোগাম অন অনলাইন অ্যাসেসমেন্টস স্ট্র্যাটেজিস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে না যায় এবং বড় রকমের সেশনজটে না পড়ে সেজন্য ইউজিসি শর্তসাপেক্ষে অনলাইন শিক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। অনলাইন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস, ইন্টারনেটের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েই দেশের উচ্চশিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইউজিসি ও আমেরিকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাই অনলাইন শিক্ষার মূল্যায়ন, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের কৌশল জানার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করতে পারবে। অনুষ্ঠানে ‘অ্যাসেসিং লার্নিং অনলাইন: অবজেকটিভ অ্যাসেসমেন্টস অ্যান্ড অ্যাড্রেসিং চিটিং’ শীর্ষক মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো’র অর্গানাইজেশন, ইনফরমেশন অ্যান্ড লার্নিং সায়েন্সেসর সহযোগী অধ্যাপক ড. স্টেফানি এল মুর। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সংস্কৃতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ রায়হানা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা প্রফেসর শন ম্যাকেনতশ, ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়া যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।