নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্যান্য ধাপের মতো চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও অনিয়ম, সহিংসতার মধ্যে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলো। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, লালমনিরহাট, কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী অনিয়ম, সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভোটগ্রহণ বন্ধ করাসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮৩৮ ইউপিতে টানা ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ৩৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, চতুর্থ ধাপে ৫৮ জেলার, ১১৮টি উপজেলায় ৮৩৮টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোট ২৯৫ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪৮ জন প্রার্থী। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৩৫ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ৮১৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ হাজার ৫১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩০ হাজার ১০৬ জন প্রার্থী ভোটের লড়াই করছেন। চেয়ারম্যান পদে এই ধাপে ১৬টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংখ্যা তিন-চতুর্থাংশ। ইতোমধ্যে তিন ধাপে ২ হাজার ২২৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে ইসি। পঞ্চম ধাপে ৭০৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। আর ষষ্ঠ ধাপে ২১৯ ইউপিতে ভোট হবে ৩১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক