অনলাইন ডেস্ক :
পারিশ্রমিক, ম্যাচ ফি থেকে শুরু করে আরও কিছু বিষয় নিয়ে দাবি-দাওয়া জানিয়েছিলেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও তা পূরণের আশার কথা শোনাচ্ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে মেয়েদের চাওয়া পূরণ করল বাফুফে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে বুধবার (১৬ আগষ্ট) ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন সালাউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলন রুমে মেয়েরা ঢোকেন হাসিমুখে, হাতে চুক্তির কাগজপত্র নিয়ে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানান, ৩১ জনকে চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। চার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অঙ্কের চুক্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন পাবেন মাসিক ৫০ হাজার করে, ১০ জন ৩০ হাজার করে। বাকি ছয় জনের বিষয়ে বলার আগেই তাকে থামিয়ে দেন সালাউদ্দিন। চুক্তির বিষয় ‘কনফিডেন্সিয়াল’ হওয়ায় বিস্তারিত বলতে চাননি বাফুফে সভাপতি।
তবে সংস্থাটির সুত্রের খবর, বাকি ছয় জনের মধ্যে চার জন পাচ্ছেন ২০ হাজার করে, দুই জন ১৮ হাজার করে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকর হতে যাওয়া এই চুক্তি নিয়ে সন্তুষ্টি, আক্ষেপ দুটোই জানালেন সালাউদ্দিন। “অভিনন্দন সাবিনা, অভিনন্দন নারী দল। আমি মনে করি, তোমরা সবাই খুশি। চুক্তি খুবই সাধারণ। ওরা আমার কাছে যা যা চেয়েছিল, তার সবটুকুই দিয়েছি, ওদের চিঠির সবকিছুই দিয়েছি। একটা জিনিস দিতে পারিনি, সেটা হচ্ছে ঈদ বোনাস। ফুটবলে ঈদ বোনাস, ক্রিসমাস বোনাস বলে কোনো কিছু নাই। ওইটা ছাড়া ম্যাচ ফি, বেতন বাড়ানো, বিদেশ ট্রিপ-সব কাভার করেছি।” “পারিশ্রমিকের সংস্থান হওয়ার পথটাও খুব সাধারণ। আমাদের মেয়েদের কিছু ফিফা স্পন্সর আছে।
সব দিক কার্টেল করে এখানে নিয়ে এসেছি; খেলোয়াড়দের খুশি রাখতে হবে। আমি পারলে এটা ডাবল করে দিতাম। মেয়াদ মাত্র ৬ মাসের। নবায়নের সুযোগ আছে। পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে নবায়ন হবে। এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দের বিষয় নেই, যদি পারফরম্যান্স উন্নতি হয়, তাহলে বাড়বে, না হলে আরেকজন (উপরের পুলে) ঢুকে যাবে, সে পাবে।”
এর আগে একমাত্র অধিনায়ক সাবিনা খাতুন পেতেন ২০ হাজার টাকা। তার পরের ধাপে কয়েকজন ১০ হাজার এবং তৃতীয় ক্যাটাগরিতে থাকাদের পাঁচ হাজারের মতো পরিশ্রমিক দিত বাফুফে। নতুন চুক্তিতে খুশি হওয়ার কথা জানালেন সাবিনা। “প্রথমত আমি, সবার কাছে কৃতজ্ঞ। যেটা আসলে মেয়েরা দাবি করেছিল, আসলে দাবি না, আমি এটাকে আবদার বলব। স্যার সেটা পূরণ করেছে। মেয়েরা খুশি।” কিছুদিন আগে সাতক্ষীরায় টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল মেয়েরা। সাবিনার আমন্ত্রণে ওই টুর্নামেন্টে খেলতে যায় মারিয়া মান্ডা-মাসুরা পারভীনসহ আরও অনেকে। চুক্তির ফলে মেয়েরা জবাবদিহিতার আওতায় এসেছে বলেও মনে করেন সালাউদ্দিন।
“তখন তারা চুক্তির মধ্যে ছিল না, তাদের আমি নাও করিনি, অনুমতি দেওয়ারও প্রশ্ন আসে না। এখন তারা চুক্তির মধ্যে। এখন প্রশ্ন করতে পারব। পেশাদার দুনিয়ায় সবকিছু নির্ভর করে চুক্তির উপর, সেখানে শৃঙ্খলার বিষয়ও আছে। এই চুক্তিটা করতে আমার সুবিধা হয়েছে, কেননা এমন চুক্তিতে আমি হংকংয়ে খেলে এসেছি। এখানে বোনাস, শাস্তি সবই আছে।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা