অনলাইন ডেস্ক :
‘অভিনয় পেশাটিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। নইলে যারা এটার সাথে জড়িত তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।’- শিল্পীদের এই সম্মানজনক পেশাকে উৎসাহিত করার জন্য এমন অনুরোধই জানালেন বাংলা চলচ্চিত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী খলনায়ক মিশা সওদাগর! সানী সানোয়ার পরিচালিত নতুন ছবি ‘এশা মার্ডার’ এর ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে চ্যানেল আই অনলাইনের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন এই খলনায়ক বলেন, শিল্পীদের এই পেশাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত দেয়া উচিত। এগুলো নেই বলেই অনেক ভালো শিল্পী উন্নত ভবিষ্যতের আশায় এই পেশা ছেড়ে প্রবাসে স্থায়ী হচ্ছেন।
যোগ করে মিশা বলেন, একটা সময় কাজ কমে যাওয়ার পর যেহেতু পেশা হিসেবে স্বীকৃতি নেই, তাই শিল্পীরা অফিসিয়ালি পেনশন, ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা পায় না। শেষ জীবনটা আরাম আয়েসে কাটানোর জন্য তারা ভিনদেশে চলে যায়। তিন দশকের ক্যারিয়ারে আজও সিনেমার দর্শকদের কাছে নায়কের বিপরীতে লড়তে মিশাকেই খোঁজেন দর্শক। এই অভিনেতা তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, শিল্পীদের কাজ না করলে কোনো বেতন দেয়া হয় না। আমরা ব্যাংকের লোন নিতে গেলে পেশা কী জিজ্ঞেস করলে বলতে হয় অ্যাক্টর।
ব্যাংক থেকে বলা হয়, এই পেশায় লোন দেয়ার জন্য কোন ক্রাইটেরিয়া খুঁজে পায় না। এ ছাড়া আরো অনেক ক্ষেত্রেই এদেশে শিল্পীদের পেশাটি যথাযথভাবে স্বীকৃত নয়। মিশার কথা, মানুষ আমাদের এত সম্মান দেয় ও ভালোবাসার কাজ করার পরেও আমাদের অভিনয় পেশা হিসেবে স্বীকৃত নয়। আমি একজন সিনিয়র অভিনেতা হিসেবে মনে করি এই পেশাটিকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত।
মিশা সওদাগরের ভাষ্য,‘এখন নতুন কোন ছেলেমেয়েদের অভিনয়টাকে পেশা হিসেবে নিতে বলাটা অনেক কঠিন। কারণ এই মুহূর্তে শাকিব খান মিশা সওদাগর কিংবা চঞ্চল, মোশারফ করিম, অপূর্ব, নিশো কজনই হতে পারবে?’ মিশা বলেন, অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার পর শিল্পীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সন্তানদের মানুষ করে একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট গাড়ি বানাতে তাকে অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। নতুনদের শুধুমাত্র অভিনয় দিয়ে এতকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। অন্য কিছু করতে গেলে পত্র-পত্রিকায় লেখা হবে অমুকের দিন শেষ। সেজন্য সরকারকে এই পেশাটিকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ