অনলাইন ডেস্ক :
অসময়ের বৃষ্টিতে বেসামাল গুজরাট। গত রোববার রাজ্যটিতে অমৌসুমি বৃষ্টিপাতের মধ্যে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টির জেরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বজ্রপাতের কারণে গুজরাটের ১৩টি জেলায় ২০ জন মারা গিয়েছে। তার মধ্যে সোমবারও (২৭ নভেম্বর) গুজরাতের কিছু অংশে দুর্যোগ চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তবে দুর্যোগের মাত্রা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার পাশাপাশি পশ্চিম ঝঞ্ঝাও গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরিতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। এর প্রভাবেই গুজরাটে এই অমৌসুমি বৃষ্টি। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (২৭ নভেম্বর) থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।
কেবল দক্ষিণ গুজরাটের কিছু অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। গুজরাট প্রশাসনের তরফে জানা হয়েছে, মারা যাওয়ার মধ্যে দাহোড় জেলার তিন জন, ভারুচ জেলার তিন জন এবং তাপী জেলার দু’জন। তাছাড়াও আমেদাবাদ, আমরেলি, খেড়া, মেহসানার মতো আরও কিছু জেলায় দুর্যোগে মারা গিয়েছেন বেশ কয়েক জন। প্রাথমিক ভাবে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, সুরাত, সুরেন্দ্রনগর, খেড়া, তাপী, আমরোলার মতো জেলায় ১৬ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ থেকে ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল গুজরাটের বেশ কিছু জেলার পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে সংলগ্ন রাজস্থানের কিছু অংশেও। এদিকে মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘গুজরাটের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া এবং বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই ট্র্যাজেডিতে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের প্রতি অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।’ এছাড়াও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণের জন্য কাজ করছেন।’
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু