নিজস্ব প্রতিবেদক:
কমে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা। ফলে বন্দরের জেটি প্রতিনিয়তই ফাঁকা থাকছে। মূলত পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডলার সংকটের কারণে সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেয়ায় গত ডিসেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশেরও বেশি আমদানি কমেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা ১৮টি জেটির মধ্যে গত এক সপ্তাহে দিনে ৩টি, ৪টি এমনকি ৭টিরও বেশি খালি ছিল। খাদ্যশস্যের জন্য প্রস্তুত হওয়া পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) ৩টি ও বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) দুটি জেটিও জাহাজশূন্য থাকছে। অথচ ইতঃপূর্বে চট্টগ্রাম বন্দরে জেটিতে ভিড়তে পণ্যবাহী জাহাজকে দুই সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় বহির্নোঙরে অপেক্ষায় থাকতে হতো। চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েবা দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের ৯৮ শতাংশই আনা-নেয়া হয়। আর উল্লেখযোগ্য অংশই শিল্পপণ্য। পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় গত অক্টোবর থেকে ঋণপত্র খোলা কমতে শুরু করলেও ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছে। আর ২০২১ সালের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৮২ লাখ ৮৫ হাজার টন। ওই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ২০ দশমিক ৪২ শতাংশ আমদানি কমেছে। সূত্র জানায়, ডলার সঙ্কটে ঋণপত্র খুলতে না পারায় বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানিতে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না দেশের ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, ঋণপত্রই যদি খোলা না যাওয়ায় কম দামে পণ্য আমদানির সুফল ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর সুযোগ মিলছে না। এখন ঋণপত্র খোলার হার কমার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এদিকে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানোর জন্য এখন অপেক্ষা করতে হয় না। বরং বন্দর ব্যবহারকারীদের সেবা নিশ্চিত করতে খালি জেটি নিয়ে বসে বন্দর। দাদে বহির্নোঙরে অপেক্ষা ছাড়াই জেটিতে ভিড়ছে জাহাজ। পাশাপাশি বর্তমানে সম্প্রসারণ ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনে অপারেশনাল কার্যক্রমেও বন্দর কর্তৃপক্ষ গতি এনেছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম