১৩৫টি বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৩৫টি এইচএস কোডেড পণ্য যেমন বিদেশি ফল, ফুল, আসবাবপত্র ও প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এবং তা সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বহুল প্রত্যাশিত এই পদক্ষেপটি বিলাসজাত পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ হ্রাস করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজস্ব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ফুল ও ফল চাষে ভালো করছে। অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক ফুল ও ফল চাষিদের ন্যায্যমূল্য পেতে সহায়তা করবে।
নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:
ফুল ও ফুলজাত দ্রব্য: আমদানি করা তাজা ও শুকনো ফুল, অলঙ্কার তৈরির জন্য আমদানি করা ফুল, বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম ফুল এবং গাছের চারা বা শাখা।
ফল: টাটকা বা প্রক্রিয়াজাত আম, কলা, আঙ্গুর, ডুমুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, ম্যাঙ্গোস্টিন বা বাঁধাকপি, লেবু, তরমুজ, বরই, এপ্রিকট, চেরি ফল, হিমায়িত বা প্রক্রিয়াজাত ফলের বীজ ও মিশ্র ফলের খাবার।
আসবাবপত্রের জন্য আমদানি করা বাঁশ, যন্ত্রাংশ, বেতের আসবাবপত্র এবং আসবাবপত্রের জন্য বিভিন্ন আমদানি করা উপকরণ। এছাড়া অফিস, রান্নাঘর, বেডরুমে ব্যবহৃত কাঠের আসবাবপত্র, প্লাস্টিকের আসবাবপত্র ও বিভিন্ন ধাতব আসবাবপত্র।
প্রসাধনী পণ্যের মধ্যে রয়েছে সুগন্ধি, সৌন্দর্য ও মেকআপ প্রস্তুতি, টুথ ফ্লস, টুথ পাউডার, প্রিজারভেটিভ, শেভ প্রসাধনী ও চুলের প্রসাধনী ইত্যাদি।
বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে তিন হাজার ৪০৮টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রযোজ্য। এই পণ্যগুলোর ওপর সর্বনিম্ন তিন শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রযোজ্য।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি