October 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, March 21st, 2023, 9:43 pm

আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ ২২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। তার মধ্যে সবচেয়ে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে (কাস্টমস) বেশি ঘাটতি রয়েছে। ওই ঘাটতির পরিমাণ ১৩ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। তার পরই রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে মূসকে (ভ্যাট)। ওই খাতে ঘাটতি ৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। আর আয়কর ও ভ্রমণ করে সবচেয়ে কম ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, গত অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে ১ লাখ ১১ হাজার, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ এবং আয়কর ও ভ্রমণ করে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ১৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে মূসকে সবচেয়ে বেশি ৮২ হাজার ১৩৯ কোটি, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্বে ৭৩ হাজার ১৩ কোটি এবং আয়কর ও ভ্রমণ করে ছিল ৬৩ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে মূসকে সবচেয়ে বেশি ৭৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। তাছাড়া আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ৬০ হাজার ৪৩৭ কোটি এবং আমদানি ও রপ্তানি খাত থেকে ৫৯ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রার প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ১২ শতাংশ, গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে কাস্টমসে প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি ছিল, ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৮৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত ছিল ৯০ শতাংশ। সূত্র জানায়, রাজস্ব আহরণ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ডলার সংকট ও আমদানীকৃত কিছু পণ্যে কর অব্যাহতি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া। ডলার সংকট এখনো বিদ্যমান। আমদানি-রপ্তানিতে ধীরগতি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ধীরগতি। সরকারের নিয়ন্ত্রণের ফলে আমদানিতে শুল্ক আয় কমেছে, গত বছরের চেয়ে রাজস্ব আদায়ের এ খাতেই সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া আমদানিকে ব্যবহার করে যেসব পণ্য উৎপাদন হয়, সেখান থেকেও রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়ছে।