October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 30th, 2023, 8:13 pm

‘আমি কারাদন্ডপ্রাপ্ত নারী নই’

অনলাইন ডেস্ক :

চলতি বছরের জুনেই অসহযোগিতা ও অসদাচরণের অভিযোগে অভিনেত্রী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। এবার প্রতারণার মামলায় আদালত অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই বিষয়টি উঠে এসেছে। জেবা জান্নাতের ছবি ব্যবহার করে তাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। তবে এই শাস্তি পাওয়ার ঘটনাটি আদৌ কততুকু সত্য? সত্যি কী তিন বছরের কারাদন্ড পেয়েছেন জেবা জান্নাত?

সংবাদমাধ্যম থেকে থেকে ঘটনাটির সত্যতা জানতে জেবা জান্নাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। জেবা জান্নাত বলেন, নিউজগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীন নামটি। কিন্তু আমার নাম জেবা জান্নাত। এ ছাড়া আমার আর কোনো নাম নেই। নিউজে উল্লিখিত নারী আমি নই। যারা নিউজে আমার ছবিটা ব্যবহার করে নিউজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেব।

কারণ, না জেনেশুনে ভেরিফায়েড গণমাধ্যমগুলো নিউজ করবে এটা তো কখনই মেনে নেওয়া যায় না। অভিনেত্রী আরও বলেন, তাদের তো আগে খোঁজ নিয়ে জানা উচিত ছিল এই জেবা চৌধুরীটা কে? তারা সার্চ করেছে গুগলে আমার ছবিটা চলে এসেছে। তারা আমার ছবি আপ করে নিউজ করে দিয়েছে। এটা তো খারাপ তাই না। আমি বুঝতে পারছি না সব সময় আমাকে নিয়েই কেন নিউজ হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীন নামের এক নারীকে তিন বছরের কারাদন্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানা। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর কাছে জেবা চৌধুরী একটি গাড়ি (প্রাইভেট কার) ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।

একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২০ মার্চ জেবা চৌধুরী সব টাকা বুঝে নেন তিনি। তবে গাড়ির কাগজপত্র আপডেট না থাকায় গাড়ি হস্তান্তর করেননি জেবা। চুক্তিপত্রে বলা হয়েছিল বিআরটিএ থেকে সব কাগজপত্র ঠিক করে ১৫ দিনের মধ্যে গাড়ি হস্তান্তর করার কথা থাকলেও কিন্তু বাদীর টাকা নিয়ে আসামি আর গাড়ি হস্তান্তর করেননি। পরে ২০২২ সালের ৮ মে বাদী প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।