October 11, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, April 18th, 2022, 9:01 pm

আসামি ধরতে গিয়ে নারীকে লাঞ্চিত: সীতাকুণ্ড থানার এসআই প্রত্যাহার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আসামি ধরতে গিয়ে আসামির স্ত্রীর সঙ্গে অসৎ আচরণ এবং আলমারি ভেঙে টাকা, স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে মাহবুব মোরশেদ নামে এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম।

তিনি জানান, আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার অপেশাদার আচরণ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই নারীর স্বামী নুরুল ইসলাম পারিবারিক বিরোধের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

জানা গেছে, গতকাল রবিবার সকালে খালেদা আক্তার নামের এক গৃহিণী পুলিশ সুপার বরাবর এসআই মাহবুব মোর্শেদের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ আনেন। লিখিত অভিযোগে খালেদা আক্তার উল্লেখ করেন, শনিবার দুপুর আড়াইটায় এসআই মাহাবুব মোরশেদ পাঁচজন পুলিশ কনস্টেবলসহ খালেদা আক্তারের স্বামী গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভূক্ত আসামি নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে যান। এসময় তার সঙ্গে দুই কনস্টেবল ও একজন সোর্স ছিল। তাকে না পেয়ে এসআই মাহবুব আলমারির চাবি দিতে বলেন। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তার পেটে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রি করা দেড় লাখ টাকা, আধাভরি স্বর্ণ ও ছেলে রিয়াজ উদ্দিন হৃদয়ের স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট জব্দ করে নিয়ে যায়।
পরদিন খালেদা আক্তার ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগপত্র গ্রহণ করার পর কপি সীতাকুণ্ড সার্কেল অফিসে জমা দিতে বলা হয়। জমা দিতে গেলে থানা থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয় বলে জানান খালেদা আক্তার। তবে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আপনারা ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখতে পারেন। পরোয়ানাভূক্ত আসামি ধরতে গিয়ে এরকম ষড়যন্ত্রের শিকার হলে চাকরি করা যাবে না।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসআই মাহাবুব আসামি ধরতে থানা থেকে অনুমোদন নিয়েই গিয়েছিলেন, তবে আসামির বাড়িতে কি ঘটেছে তদন্তে জানা যাবে, তদন্তে তিনি দোষী হলে বিচার হবে, আর নির্দোষ হলে মিথ্যা অভিযোগেরও বিচার হবে।

—ইউএনবি