October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, September 21st, 2021, 8:27 pm

ইউপি ও পৌরসভা নির্বাচনের হালচাল

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ২৩ উপজেলার ১৬১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সোমবার সকাল আট ঘটিকা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ ছাড়া ৯টি পৌরসভা ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এবং মাদারীপুরের কালকিনি ও পাবনার ভাঙ্গুরা পৌরসভার একটি করে ওয়ার্ডেও ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে, শনিবার মধ্যরাতে এসব নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। ইসি থেকে চলতি মাসের শুরুতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময় জানানো হয়, করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নির্বাচন হবে।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকায় চারস্তরের নিরাপত্তা বলায় থাকবে। ভোট সামনে রেখে সবধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিসি-এসপি-রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার থেকে র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেছেন। তাদের টহল অব্যাহত থাকবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
সারাদেশে নির্বাচন-চিত্র: উল্লিখিত ১৬১টি ইউপি নির্বাচন ঘিরে বেশ কয়েকটি এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে অন্তত চারজন জেলা প্রশাসকের চাহিদার ভিত্তিতে সেখানকার কয়েকটি ইউপিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সহিংসতা থেমে নেই তবু। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ও নির্বাচন বর্জনের ঘটনা ঘটেছে।
হাতিয়া, নোয়াখালীঃ ভোটকেন্দ্রের সুন্দর পরিবেশ, এবং প্রশাসনের কড়াকড়ি নজরদারি না থাকায় অস্ত্রধারীদের অবাধ বিচরণ ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে নোয়াখালীর হাতিয়া নৌকা প্রতীকের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ভোটবর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী। সোমবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর এক ঘণ্টার মাথায় সকাল ৯টার দিকে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটবর্জনের ঘোষণা দেন।
নির্বাচনবর্জনকারী প্রার্থীরা হলেনÑ উপজেলার ৯নং বুড়িরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা) জিয়া আলী মোবারক কল্লোল, ১০নং জাহাজ মারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা) এটিএম সিরাজ উদ্দিন, ৫নং চরঈশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হালিম আজাদ (আনারস), ৮নং সোনাদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটরসাইকেল) নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়া, ১১ নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটরসাইকেল) মো. মেহেরাজ উদ্দিন।
ভুক্তভোগী একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ, এখানে নৌকা প্রতীক পেলে কিছু হবে না। হতে হবে সাবেক এমপি ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলীর আশীর্বাদ পুষ্ট। আরও অভিযোগ রয়েছেÑ এ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও মোহাম্মদ আলীর আশীর্বাদ না পাওয়ায় নির্বাচনের দিন নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে দুই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
এক্ষেত্রে সাবেক এমপি ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ আলী’র ভাষ্য, এটা স্থানীয় নির্বাচন। এটি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেই দাবিই আমরা করেছি। এজন্যই প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যারা অবৈধ পন্থায় জিততে চেয়েছিল তাদের আশা প্রশাসনের তৎপরতায় বিনষ্ট হওয়ায় তারা মাঠ ছেড়ে চলে গেছে।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি আরও বলেন, যারা নাচতে জানে না তাদের কাছেই উঠান বাঁকা মনে হয়। আমরা যে কোনো অবস্থায় চেয়েছি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ হোক। এ কালচারটা আমরা ঠিক রাখতে চাই।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন অবশ্য প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জন সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য, অফিসিয়ালি এটি আমি জানি না। এ মুহূর্তে ভোটগ্রহণ চলছে। অফিসিয়ালি ভোটবর্জনের কোনো সুযোগ দেখি না। আইনগত কোনো বিধান নেই।
মহেশখালী, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়ন ও কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী শেখ কামাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ আবুল কালামকে তৎক্ষণাৎ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সহিংসতায় আরও ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
অন্যদিকে মহেশখালীর কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াড়র্ের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আবদুল হালিম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আবদুল হালিম বড়ঘোপ ইউনিয়নের গোলদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ৭ নং ওয়ার্ড় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যের গুলিতে আবদুল হালিম আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া, বাগেরহাট: খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপেজলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়নে (ইউপি) আবার ঘটেছে অনন্য ঘটনা। এই ইউনিয়নে কোন ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়েনি। সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড তৈরি করেছে। ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান, সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী সদস্যের ১৩টি পদের সব কয়টিতেই একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন এবং প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহমেদ জানান, যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকায় সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাজমা আক্তার।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দীন বলেন, রাড়ীপাড়া ইউপিতে চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদগুলোতে দল সমর্থিত সদস্য ছাড়া অন্য কোনও প্রার্থী অংশগ্রহণ করেননি। সে কারণে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
কলারোয়া, সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দেখা গেছে এক ভিন্ন চিত্র। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এই উপজেলার সোনাবাড়ি উত্তর, সোনাবাড়ি দক্ষিণ, রাজাপুর ও মাদুরা ভোটকেন্দ্রে মানুষকে প্রবল আনন্দ উদ্দীপনা নিয়ে ভিড় করতে দেখা গেছে। পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি।
তবে উপজেলাটি ভোটের এই সময়টিতে যে একদম কোন গোলযোগ হয়নি এমনটি অবশ্য নয়। গ্রামবাসীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভারতের সীমান্ত ঘেষা সোনাবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে চরম উত্তেজনা চলছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
সোনাবাড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা একজন প্রার্থীর অভিমত হলো, ‘মূলত আওয়ামী লীগ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আগের রাতেও সোনাদিয়া দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হওয়ায় এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে।’
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কলারোয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘কলারোয়া উপজেলায় মোট ১০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচন অবাধ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করতে আমরা ঐকান্তিকভাবে কাজ করছি। প্রশাসন মাঠে কঠোর অবস্থানে আছে।’
খুলনা জেলাঃ খুলনা জেলার বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১১জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার দলটির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা শাখার বর্ধিত সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হায়দার মোড়ল, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরকার, সহ সভাপতি আমির আলী গাঈন, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্যা, পাইকগাছা থানা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মজিদ গোলদার, দিঘলিয়ার সেনহাটী ইউনিয়নে গাজী জিয়াউর রহমান, কয়রা উপজেলার বেদকাশী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মোড়ল আছের আলী, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শেখ মোঃ আসাবুর রহমান, দাকোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সঞ্জয় মোড়ল, বানিশান্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য সুভাংশু বদ্ধ্য, কামারখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য সমরেশ রায়।
বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শেখ হারুনুর রশীদ। সভা পরিচালনা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়ঃ প্রথমবারের মতো পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সোমবার সকালে। দেবীগঞ্জবাসী এই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির মুখোমুখি হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হলেও ইভিএম পদ্ধতি ভোটারদের কাছে নতুন হওয়ায় ভোট গ্রহণ চলছে ধীরগতিতে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে ভোট দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য ভোটারদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভও লক্ষ্য করা গেছে।
ভোট গ্রহণের মন্থর গতির ব্যাখ্যায় অনেক প্রিজাইডিং অফিসারের অভিমত, ভোটকেন্দ্রে আসা ভোটারদের নতুন করে শেখাতে হচ্ছে। এজন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে। পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভোট নিতে একটু বেশি সময় লাগছে।
জানা যায়, নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, কাউন্সিলর পদে ৬২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। অন্য আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দেবীগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটার ১০ হাজার ৯১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৩৩৬ ও নারী ভোটার ৫ হাজার ৫৭৮ জন। পৌরসভার নয়টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ছয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঝুঁকিপূর্ণ ছয়টির মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে দুটি কেন্দ্র।
শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নয়টি কেন্দ্রে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন রাখা হয়। পুরো নির্বাচনী এলাকাজুড়ে পুলিশের ও বিজিবি চারটি করে ভ্রাম্যমাণ দল ও র‌্যাবের তিনটি ভ্রাম্যমাণ দলও কাজ করে।
উল্লেখ্য, দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ও দেবীডুবা ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে ২০১৪ সালে গঠিত হয় দেবীগঞ্জ পৌরসভা। সীমানা জটিলতায় দীর্ঘদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার প্রথমবারের মতো এই পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছিল।