November 2, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, April 5th, 2024, 8:07 pm

উগ্রবাদীদের হুমকির পর নিরাপত্তা চাইলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে উগ্রবাদী ও মৌলবাদী সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী।

তারা জানান, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও সাম্প্রদায়িক উসকানিতে অভিযুক্ত এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত পেজ বাঁশেরকেল্লা, টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীদের নাম ও ছবি প্রচার শুরু করেছে।

অতীতে এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার সঙ্গে এর মিল রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এসব হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কারণ রয়েছে।’

শুক্রবার বুয়েটের শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে হুমকির স্ক্রিনশটগুলোসহ অভিযোগ করেন।

কয়েকদিন আগে তারা উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন, যেখানে তারা ২১ জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করেন, যারা একই ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন।

তারা বলেন, ‘মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ায় অতীতে আমাদের ওপর মৌখিক আক্রমণ হয়েছে, যা স্পষ্টতই মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।’

২০১৩ সালে পৃথক হামলায়, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়। এক ছাত্র নিহত ও অপর একজন বেঁচে যান। শিবিরের হামলার শিকার হওয়া এই দুই ছাত্রনেতা মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

তারা আরও বলেন, তন্ময় আহমেদ ও আরিফ রায়হান দীপ নামে ওই দুই ছাত্রনেতার ওপর হামলার আগে বাঁশেরকেল্লা ও আমার দেশ পত্রিকা ‘ইসলামের শত্রু’ আখ্যা দিয়ে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালিয়েছিল।

হলের ভেতরে মৌলবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এক সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে দীপ মারা গেলেও তন্ময়কে শিবির কর্মীরা নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করেছিল বলে জানা যায়।

এসব হামলার কথা স্মরণ করে তারা বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরীদের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন তৈরি হয়। দুজনেই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং এই দলগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। একই ভাবে বাঁশের কেল্লা আমাদের টার্গেট করেছে। আমাদের বিস্তারিত তথ্যসহ পোস্টগুলো এরই মধ্যে টেলিগ্রাম চ্যানেলের মতো বিভিন্ন যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে এই দলগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে।’

প্রত্যন্ত অঞ্চলে বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীসহ শিবিরের ৩৪ জন নেতা-কর্মীর গোপন বৈঠকের খবরের বরাত দিয়ে তারা বলেন, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তারা ছাত্রদের নিয়ে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।’

‘এমনকি কিছু ফেসবুক গ্রুপেও আমরা দেখতে পেয়েছি যে, আমাদের নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করা হয়েছে এবং আমাদের কিছু সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীকে টার্গেট করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর পোস্টগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা জঙ্গিদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই স্থান ব্যবহার করছে, এই কর্মীদের জড়িত থাকার আরও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।’

—–ইউএনবি