নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ কমার্শিয়ালাইজেশন অফ বায়োফর্টিফাইড ক্রপস (সিবিসি) প্রোগ্রামের আওতায় লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ে ১২, ১৩ ও ১৫ অক্টোবর জিংক ধান বীজের ভ্যালু চেইন অ্যাক্টরস মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইভেন্টের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় জিংক ধান বীজ উৎপাদনকারী, বীজ কোম্পানী, বীজ ডিলার, রিটেইলার, বিএডিসি, জিংক ধান বাণিজ্যিক উৎপাদনকারী ও অন্যান্য বাজার চেইন এক্টরদের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি করা। এতে জিংক ধান ও চাল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের জিংক নামক পুষ্টির ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতটিকে মেগা প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করে উল্লেখ করেন,”রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, ফলন ভাল, বাজার মূল্য বেশি, খেতে সুস্বাদু, দেরিতেও ভালো ফলন দেওয়ার কারনে উত্তরাঞ্চালের কৃষকেরা এখন বোরো মৌসুমে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ এর দিকে বেশি ঝুঁকছে”।
আলোচনার প্রাক্কালে লালমনিরহাট জেলার বিএডিসির সহকারী উপ-পরিচালক বলেন, ” এখন আমাদের অঞ্চলে জিংক ধান ব্রি ধান৭৪ জাতের চাহিদা অনেক বেশি। বিএডিসি ও জাতীয় পর্যায়ের বীজ কোম্পানীর পাশাপাশি এখন এই অঞ্চলে প্রায় ৩০ টির বেশি স্থানীয় কোম্পানী আত্মপ্রকাশ করেছে যাদের কাছে ২০২২-২৩ বোরো মৌসুমের জন্য প্রায় ১,১০০ মেট্রিক টন জিংক ধানের বীজ বাজারজাতকরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষত জিংক ধানের প্রসার ও বাণিজ্যিকিকরণে আমাদের সাথে একযোগে কাজ করার জন্য হারভেস্টপ্লাস ও সিবিসি প্রকল্পকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ “।
উক্ত অনুষ্ঠানে লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ের প্রায় ১২০ জন বীজ উৎপাদনকারী, বীজ কোম্পানীর মালিক, বীজ ডিলার, রিটেইলার, এনজিও প্রতিনিধি, বিএডিসির কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিএই’র কর্মকর্তাবৃন্দ ও জিংক ধান বাণিজ্যিক উৎপাদনকারী স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ কওে বায়োফর্টিফাইড জিংক ধান ও চালের সম্প্রসারণ, উৎপাদন ও বাণিজ্যিকীকরণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি