October 9, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 10th, 2022, 7:39 pm

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: পি আই ডি

‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সকলের অংশগ্রহণে দেশের অর্থনীতির যে অগ্রগতি হয়েছে, তার গতি ধরে রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ যতটুকু পারি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়ে যাব এবং দেশবাসীকেও আমি সে আহ্বানই জানাই- সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে অগ্রগতি ইতোমধ্যে হয়েছে সেটা ধরে রাখুন।’

সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুক্ত স্বদেশে জাতির পিতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যাদের জন্য দেশ স্বাধীন করেছেন, সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, বারবার কারাবরণ ও নিপীড়ন সহ্য করেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার সরকারের লক্ষ্য।

এ সময় তিনি বলেন, আজ আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কারণ তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন এবং ক্ষমতায় এসে জনগণের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমাদের লক্ষ্য যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। আজকের দিনে সে প্রত্যয়ই ব্যক্ত করছি।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে গেলে হিথ্রো বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ত্রপা মজুমদার। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার লেখা দুটি কবিতা আবৃত্তি করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।

—ইউএনবি