অনলাইন ডেস্ক :
একসময় এশিয়ার ক্লাব ফুটবলে মোহামেডানের দাপট ছিল। ইরান, সৌদি আরবের মতো শক্তিশালী ক্লাব দলের সঙ্গে লড়াই করত। সেই মোহামেডান অনেক দিন পর ফেডারেশন কাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হলেও তারা আদৌ এএফসি কাপে খেলতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত না। মোহামেডান বর্তমান মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এএফসি কাপে খেলার সুযোগ আসবে আগামী ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে। কিন্তু এই সুযোগ এত সহজেই হাতে ধরা দেবে না। কারণ এখন এএফসি কাপে খেলার পথ অনেক কঠিন হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ২০২৪-২৫ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে কয়টা ক্লাবকে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে সেটি নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলের র্যাংকিংয়ের ওপর।
সেই তালিকায় বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর অবস্থান কতটা মজবুত স্থানে থাকে তার ওপর নির্ভর করছে। কথা আরো আছে, বাংলাদেশ কয়টা স্লট পাবে সেটাও একটা বড় বিষয়। একটা ক্লাব খেলবে নাকি দুইটা ক্লাব খেলতে পারবে সেটাও দেখতে হবে। যদি দুইটা স্লট পাওয়া যায় তাহলে একটা দল সরাসরি খেলবে অন্যটা প্লে অফ খেলবে। আর এটা নির্ভর করবে ক্লাব র্যাংকিংয়ের ওপর। যদি দুইটা স্লট দেওয়া হয় তাহলে লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য সুযোগ আসবে। আর যদি একটা ক্লাবকে দেওয়া হয় তাহলে লিগ চ্যাম্পিয়ন অগ্রাধিকার পাবে।
গতবার তিনটা স্লট পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ক্লাবগুলো। মোহামেডান যদি স্লাট পায় তখন এএফসি দেখতে তাদের ক্লাব লাইসেন্স করা আছে কিনা। না থাকলে লাইসেন্স করতে হবে। সময় দেওয়া হবে। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে ক্লাব লাইসেন্স পেতে হলে কঠিন শর্ত পূরণ করতে হবে। মোহামেডানের পক্ষে সম্ভব কি না সেটাও একটা বড় বিষয়। সব শেষ কথা হচ্ছে এএফসি কাপে খেলার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে মোহামেডান। বাকিটা নির্ভর করছে ক্লাব লাইসেন্সিং এবং কোটা পাওয়া যায় কি না সেটার ওপর।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা