October 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 21st, 2021, 12:58 am

এসকে সিনহাসহ ১১ জনের মামলার রায় বৃহস্পতিবার

অনলাইন ডেস্ক :

চার কোটি টাকা ঋণ দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুদক এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ গত ৫ অক্টোবর ধার্য করেন। কিন্তু ওইদিন বিচারক অসুস্থ হয়ে ছুটিতে থাকায় তা পিছিয়ে ২১ অক্টোবর ধার্য করা হয়।

গত ২৯ আগস্ট মামলাটিতে পলাতক আসামিরা ছাড়া আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন অন্যরা। গত ২৪ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার তদন্তের সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে নির্দেশনা দেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।