October 8, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, August 13th, 2023, 7:39 pm

কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০

এপি, কঙ্গো :

ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বন্দুকধারী ও অস্ত্র সজ্জিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী কমপক্ষে ১০ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

সহিংসতার ঘটনাটি একটি গভীরতর সঙ্কটের সর্বশেষ চিত্র। যা বিরাট মধ্য আফ্রিকান দেশটির অপর প্রান্তে সংঘাতে ছেয়ে গেছে।

প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র অ্যাডেলার্ড এনকিসির জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী কিনশাসা থেকে ২৩০ মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) দক্ষিণে ইপঙ্গি গ্রামে মোবন্ডো নামে পরিচিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী বেসামরিক লোকদের উপর হামলা করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এনকিসি বলেন, মিলিশিয়া সদস্যরা বেশ কিছু লোককে বেঁধে অপহরণ করেছিল, বিশেষ করে যারা ঝোপের মধ্যে পালিয়েছিল। প্রাদেশিক সরকার ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে।

২০২২ সালের জুন মাসে কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জমির অধিকার এবং প্রথাগত ট্যাক্স নিয়ে এই অঞ্চলের প্রাচীনতম বাসিন্দা টেক এবং এবং সম্প্রতি কঙ্গো নদীর কাছে বসতি স্থাপনকারী ইয়াকা সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মুখপাত্র এনকিসি জানায়, ইয়াকা-সংখ্যাগরিষ্ঠ মোবন্ডো মিলিশিয়ার একজন নেতাকে কাছের একটি শহরে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়ার পরে শুক্রবারের এই সহিংসতা শুরু হয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, টেকে এবং ইয়াকা সম্প্রদায়ের মধ্যে ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং চাষের জমিতে অধিকার নিয়ে মতবিরোধের মধ্যে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে সহিংসতার একটি চক্রের মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা এটি। এই সহিংসতা গুলোতে কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছেন।

একটি আঞ্চলিক নাগরিক সমাজ সংস্থার ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিম্ফোরিয়েন কোয়েঙ্গো, দক্ষিণ-পশ্চিম কঙ্গোতে মারাত্মক উত্তেজনা কমানোর জন্য মোবন্ডো মিলিশিয়া ও সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, সারা দেশে একটি পুরনো বৃহত্তর পরিসরের সংঘাতে ২০২২ সালেই কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে (রুয়ান্ডা এবং উগান্ডার সীমান্তের কাছাকাছি ) ১২০টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী মূল্যবান খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এবং তাদের কিছু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ঘন ঘন গণহত্যার কারণে বেসামরিক লোকজন দেশত্যাগ শুরু করে। যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, যৌন সহিংসতা এবং রোগের বিস্তার ঘটে।