কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃহস্পতিবার বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে।
তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা নিশ্চিত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সোয়াট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নজরদারি করে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
ভিসি বলেছেন, ‘একটি সম্প্রীতিপূর্ণ, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ গড়তে, এই জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব এই উৎসবটি একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনা দ্বারা উজ্জীবিত হয়। কারণ এতে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ জড়িত থাকে। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তার পক্ষ থেকে খালিদ বলেন, ‘মহামারির কারণে আমরা দুই বছর ধরে আমাদের উৎসবগুলো উদযাপন করতে পারিনি। এই পহেলা বৈশাখ সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি উৎসব। আমি মনে করি আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি, শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ভি-সি (প্রশাসন) প্রফেসর মুহাম্মদ সামাদ ও প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী অংশ নেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি
কুলাউড়ায় ঝড়ে দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
যুক্তরাষ্ট্রে পতনের মুখে ২০০ ব্যাংক