October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, May 17th, 2021, 2:31 pm

করোনায় পৌনে ৫ কোটি টাকা ঋণ পেলেন ১৬শ আইনজীবী, জনপ্রতি ৩০ হাজার

ষ্টাফ রির্পোটার :

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সরকারঘোষিত লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন অনেক আইনজীবী। এই সংকট নিরসনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশনের) পক্ষ থেকে আপৎকালীন বিশেষ ঋণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি আইনজীবী পৌনে পাঁচ কোটি টাকা পেয়েছেন। ঋণ বাবদ আইনজীবীদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট বার সূত্রে জানা গেছে।

তবে, অনেকে আইনজীবীদের ঋণ দেয়ার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ ভালো চোখে দেখছেন না। তারা বলছেন, এভাবে ঋণ না দিয়ে ঈদ উৎসব বা ভাতা হিসেবে বারের সব সদস্যকে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা করে দিলে এই সংকটকালে সেটা ভালো উদ্যোগ হতো। অনেকে আবার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালত কিছুদিন বন্ধ রাখার পর এখন সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। এরই মধ্যে পর্যায়ক্রমে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ রাখার পর আইনজীবীদের দাবির মুখে সীমিত আকারে চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে সীমিত পরিসরে হাইকোর্টের সাতটি বেঞ্চে বিচারিক কাজ চলছিল। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চলছিল সপ্তাহে তিন দিন এবং আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালতে সপ্তাহে কয়েক কর্মদিবস বিচারিক কাজ চলছিল।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের বেশিরভাগ আইনজীবী হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এবং মামলার জট ছাড়িয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে ভার্চুয়াল বেঞ্চ বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে আইনজীবীদের একমাত্র আয়ের পথও সুগম হবে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জমানো অর্থ দিয়ে কিছু কিছু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সংসার চললেও, অন্যান্য নবীন-প্রবীণ আইনজীবী সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তাই আইনজীবীদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দাবি ওঠে, নবীন-প্রবীণ সদস্যদের বিশেষ ঋণ দিতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঈদুল ফিতরের আগে মোট চার কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি ঋণ পেয়েছেন ১৬ শতাধিক আইনজীবী। এই অর্থ চেকের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে।