হঠাৎ করে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কুমার নদীর পাড়ে কমপক্ষে ২৩টি বাড়ি ধসে দেবে গেছে। এছাড়া ওই এলাকার একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে নদী পাড়ে বসবাসরত ওই এলাকার বাসিন্দারা তীব্র ভাঙ্গন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭/৮ দিন ধরে হঠাৎ করেই শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কুমার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফাটল দেখা দেয়। এরপর একে একে বেশ কিছু বাড়ি ধসে দেবে গেছে পাঁচ থেকে ১০ ফুট। অনেকে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া শুরু করেছেন। এলাকার পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো তাদের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না নেয়ায় তারা ভাঙ্গন আতংকের মধ্যে দিন পার করছেন। এখন অতি দ্রুত সরকারের পক্ষ থেকে ওই এলাকা রক্ষায় ভূমিকা নেয়ার দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাবাসপুর এলাকার কমপক্ষে ২৩টি পরিবারের বসত বাড়ি-ঘর দেবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কুমার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফাটল দেখা দেয়।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, নদীর পাড় দেবে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরপরেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এর একটি ডিজাইন তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন নদের ওখানে মাটির তলদেশে ধস হওয়ার কারণে ওই এলাকায় দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এটা নিয়ে বেশি ভয়ের কিছু নেই।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, নদ খননের ফলে হয়তো এমনটি ঘটতে পারে, তবে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
চলতি অর্থবছরে রপ্তানির আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২.৪০%: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চাঁদপুরের ৬ উপজেলায় ৪৪টি কালভার্টসহ ১৯২ গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ১.১৭ শতাংশ: বিবিএস