October 13, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 9th, 2023, 3:29 pm

কুলাউড়া পৌরসভার ৬৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

রাস্তাঘাট, ড্রেন, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কুলাউড়া পৌরসভার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সংশোধিত ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত ৬৬ কোটি ৬৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

৯ আগস্ট বুধবার বিকেলে পৌর মিলনায়তনে পৌরসভার বাজেট ঘোষণার আগে বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য দেন মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শরদিন্দু রায়ের পরিচালনায় বাজেট উপস্থাপন করেন পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ পনির হোসেন মোল্লা।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ১ শত ৯৪ টাকা। উন্নয়ন আয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ৪১ লাখ ৯৪ হাজার ১ শত ৯৪ টাকা। মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

বাজেট অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার এডিবি এবং অফিড এর সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন “তৃতীয় নগর পরিচালন অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) প্রকল্পের” ফলোআপ প্রকল্প হিসেবে কুলাউড়া পৌরসভা (আইইউজিআইপি) প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রকল্প সহায়তার মাধ্যমে পৌর এলাকার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন রাস্তাঘাট, ড্রেন, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ, যানজট নিরসনে ফুটপাত নির্মাণ, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, সড়ক-উপসড়ক প্রশস্তকরণ, ড্রেন নির্মাণ, পৌর এলাকার শিক্ষার মানন্নোয়নে পৌরসভার সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিবছর মেধাবৃত্তি চালু করা হয়েছে। পৌর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্দেশ্য জনস্বাস্থ্য প্রেকৌশল অধিদপ্তর ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ভূগর্ভস্থ পানির পাম্প স্থাপন ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব করা হয়। বিশেষ করে জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে মরা গোগালী খাল খনন করা হয়েছে। প্রাইমারী, সেকেন্ডারি ও টারসিয়ারি ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌর পার্ক, পাঠাগার, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ তৈরির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সাপ্তাহিক হাটবার চালু, দুটি কাঁচাবাজার পাঁকাকরণ, আড়ৎবাজার ও কসাইখানা নির্মাণের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

মেয়র আরো বলেন, রাজস্ব বরাদ্ধ পেতে হলে কর পরিশোধকে গুরুত্ব দিতে হয়। কর আদায় করতে গেলে অনেকের বিরাগভাজন হতে হয়। পৌরসভাকে এগিয়ে নিতে পৌর কর প্রদানে নাগরিকদের আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। পৌরসভার সম্মানিত নাগরিকদের পরামর্শ নিয়েই সকল উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হচ্ছে। একটি বাসযোগ্য আধুনিক উন্নত পৌরসভা গঠনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পৌর কর আদায় ও বাজেট বাস্তবায়নে তিনি পৌর নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।