অনলাইন ডেস্ক :
কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে তুরস্ক ও মিশর। গতকাল মঙ্গলবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ বিবৃতিতে, কায়রো ও আঙ্কারা বলেছে যে তুরস্ক সালিহ মুতলু সেনকে কায়রোতে নিজেদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছে। অন্যদিকে, আমর এলহামামিকে আঙ্কারায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছে মিশর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রেসিডেন্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কায়রো-আঙ্কারার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হয়েছে। তুর্কি ও মিশরীয় জনগণের স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ। দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের নেতারা একাধিকবার একে অপরকে মৌখিকভাবে আক্রমণ করেছে।
তবে ২০২০ এর দশকে তারা একটি সম্প্রীতি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে বেশ কয়েক বার আলোচনা হয়েছে। সেসময় তারা একে অপরকে বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠায় ও পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে। আল জাজিরা বলছে, মিশর ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মতো অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের জন্য বৈদেশিক নীতির উদ্যোগ শুরু করেছে আঙ্কারা। এ কারণেই ২০২১ সাল থেকে তুরস্ক ও মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের আলোচনা করে আসছিলেন।
২০২২ সালের শেষের দিকে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান হাত মেলানোর পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা মূল মোড় নেয়। ২০১৩ সালে আঙ্কারার মিত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মিশরের তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এ ঘটনায় চরম প্রতিক্রিয়া দেখায় তুরস্ক। এর জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। সূত্র: আল জাজিরা
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু