October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, February 8th, 2023, 10:00 pm

কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে এলপিজি নিয়ে তুঘলকি কান্ড শুরু হয়েছে। গ্রাহকরা দিশেহারা। কোথাও সরকার নির্ধারিত দামে এলপিজি পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি অতিরিক্ত দাম দিয়ে এলপিজি পেতেও গ্রাহকদের বিভিন্ন স্থানে ধর্না দিতে হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে মাত্রাতিরিক্ত দামে এলপিজি বিক্রি করছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। আর তাতেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে এলপিজির দাম। ভুক্তভোগী গ্রাহক এবং এলপিজি ডিলারদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের কোথাও সরকার নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না। অথচ অতিসম্প্রতি প্রতি ১২ কেজির এলপি গ্যাসের মূল্য একসাথে ২৬৬ টাকা বা প্রায় ২২ শতাংশ বাড়িয়ে এক হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ওই দামে এলপি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানভেদে ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য এক হাজার ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার এবং ব্যবসায়ীদের এলপিজির দাম অব্যাহতভাবে বাড়ানোতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়েই তাদের মাত্রাতিরিক্ত দামে এলপিজি কিনতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, গ্যাস সঙ্কটে বিগত ২০০৯ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ রয়েছে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ। তাতে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই এলপিজির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে একটানা এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একলাফে প্রতি ১২ লিটার এলপি গ্যাসের মূল্য ২৬৬ টাকা বা প্রায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি করে এক হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এত বেশি দাম বাড়ানোর পরও এ মূল্য কার্যকর হচ্ছে না, বরং স্থানভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে এলপিজি ডিলারদের দাবি, তারা কোম্পানি থেকে কাক্সিক্ষত হারে এলপিজি কিনতে পারছে না। এক গাড়ি এলপি গ্যাসের জন্য কোম্পানিগুলোর গেটের সামনে লাইনে ৬ থেকে ৭ দিন ট্রাক দাঁড়িয়ে রাখতে হয়। ওই দিনগুলোতে ট্রাকভাড়া ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। তাতে গাড়িপ্রতি বাড়তি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। আবার কোম্পানিগুলোও বেশি দাম রাখছে। খুচরা মূল্যের ওপর তার প্রভাব পড়েছে। তাতে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৭০০ টাকা থেকে কোনো কোনো স্থানে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে এলপিজি কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের মতে, ডলার সঙ্কটের কারণে আগের মতো এলপি গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম। আবার ডলারের দাম বেড়ে গেছে। সবমিলেই আমদানি ব্যয় বেশি পড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।