October 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 28th, 2022, 9:26 pm

কেক যখন জীবনবৃত্তান্ত!

ভোজ্য জীবনবৃত্তান্ত! শুনে অবাক লাগছে না? লাগারই কথা। জীবনবৃত্তান্ত, কোথাও আবেদনের প্রথম ধাপ। সে ধাপ খাবারযোগ্য হয় কীভাবে!

মানুষ যে কতো বিচিত্র তা প্রমাণ করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী কেকের ওপর ছেপেছেন নিজের জীবনবৃত্তান্ত।

কিছুদিন আগে চাকরি সম্পর্কিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে কার্লি প্যাভলিনাক ব্ল্যাকবার্ন কীভাবে নাইকিতে চাকরির আবেদন করেছিলেন তা জানিয়ে ছবিসহ পোস্ট করেন। উদ্ভট, কিন্তু ব্যতিক্রমী ধারণার সেই জীবনবৃত্তান্ত দেখতে পায় যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীসহ সারা বিশ্ব।

ব্ল্যাকবার্ন লিংকডইনে লিখেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে নাইকিতে কেকের ওপর আমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছিলাম। হ্যাঁ, ভোজ্য জীবনবৃত্তান্ত। নাইকি জেডিআই (জাস্ট ডু ইট ডে) দিবসের জন্য বড় এক উদযাপনের আয়োজন করে। আমি কিছু গবেষণা করি এবং নাইকির মধ্যে ভ্যালিয়েন্ট ল্যাবস নামে একটি বিভাগ পাই যা নাইকির ধারণাগুলোর জন্য স্টার্টআপ ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করে।’

তিনি আরও বলেন, কোম্পানিটি বর্তমানে কোনো পদের জন্য জনবল নিচ্ছে না। তবুও নিজের সম্পর্কে কোম্পানিটিকে জানানোর উদ্দেশেই তিনি কাজটি করেছেন।

ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘একটি বড় পার্টিতে কেক পাঠানোর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে! আমি আমার প্রাক্তন সহকর্মী ট্রেন্ট গ্যান্ডারের সঙ্গে এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলাম। তখন তিনি বলেন, কার্লি, আরও ভালো করতে হবে। এটি একটি সৃজনশীল জায়গা, তাই সৃজনশীল পথ ধরেই এগিয়ে যাও।’

এনডিটিভি উল্লেখ করেছে, ব্ল্যাকবার্ন এমন এক পার্টিতে জীবনবৃত্তান্ত সম্বলিত কেক দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করে যেখানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ব্ল্যাকবার্ন জানান, তিনি উত্তর ক্যারোলিনা থেকে ওরেগনের বেভারটনের সম্পূর্ণ পথ পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। ঠিক তখনই মার্কিন এই নারী এমন এক মুদি দোকানের খোঁজ পান যেখানে কেকের ওপর ছবি ছাপানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর তিনি একজন ডেলিভারি সহযোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ব্ল্যাকবার্ন ডেলিভারি সহযোগীর সাথে ফোনে কথা বলেন এবং সে, কেক যেখানে পাঠাতে চায় সেখানে পৌঁছে দিতে রাজি হয়। ব্যাল্ডউইন কেকটি পার্টিতে নিয়ে যান এবং যখন তাকে অভ্যর্থনা ডেস্কে তা রেখে যেতে বলা হয় তখন তিনি বলেন, ‘তাদের হাতে পৌঁছানো আমাকে দেখতেই হবে। আমি কার্লিকে ওয়াদা করেছি যে এই কেকটি সঠিক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাব।’

তিনি নাইকি ক্যাম্পাসেও নেভিগেট করেছিলেন, যখন এক হাতে একটি ঘুমন্ত শিশু এবং অন্য হাতে একটি চাদরের কেক।

এক হাতে ঘুমন্ত শিশু ও অন্য হাতে খাবারযোগ্য জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে তিনি নাইকি ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন।

—ইউএনবি