July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, June 2nd, 2024, 8:08 pm

ক্রুসের রাজকীয় বিদায়

অনলাইন ডেস্ক :

১১ বছর আগে ওয়েম্বলিতে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার ছোঁয়া পেয়েছিলেন টনি ক্রুস। বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে সেবার অবশ্য ফাইনাল ম্যাচে খেলা হয়নি তার। ১১ বছরের ব্যবধানে সেই মাঠেই ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ইউরোপ সেরার মুকুট পড়লেন জার্মান এই ফুটবলার। সেটাও আবার তার ক্লাব ফুটবলের বিদায়ী ম্যাচে। এবার রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে। শিরোপা জিতেই পতচলা থেমে গেল এই মিডফিল্ডারের। ক্লাব ফুটবলের লড়াইয়ে আর দেখা যাবে না তাকে। আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, ওয়েম্বলির ম্যাচই হতে যাচ্ছে তার ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।

আর জার্মানির জার্সিতে ইউরোর পর তুলে রাখবেন বুট জোড়া। রিয়ালের জার্সিতেই নিজের শেষ ম্যাচ খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ক্রুস। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। গত সপ্তাহে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে ক্রুসকে বিদায় জানান রিয়াল সমর্থকরা। তাকে যেভাবে বিদায় নিয়েছেন তাতে মিশে ছিল আবেগ, ভালোবাসা আর সম্মান। স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়েই থাকবে দৃশ্যগুলো। রোববার ওয়েম্বলিতেও শিরোপা জিতেই শেষ বললেন এই মিডফিল্ডার। তার ক্যারিয়ারে এটি ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, রিয়ালের হয় পঞ্চম আর অন্যটি বায়ার্নের জার্সিতে।

রিয়ালের জার্সিতে ৪৬৫ ম্যাচ খেলে ২৩টি ট্রফি জিতলেন ক্রুস। দানি কার্ভাহাল, নাচো ও লুকা মডরিচেরও এই শিরোপা ছয়টি। রিয়ালের সাবেক তারকা পাকো হেন্তোর ছয় শিরোপার কীর্তি ছুঁয়ে ফেলেছেন তারা। গত ১০ বছর ধরে যিনি রিয়ালের মধ্যমাঠ আগলে রেখেছেন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ ফুটবলের জাদু ছড়িয়েছেন এমন বিদায় তো তাঁরই প্রাপ্য। শেষ ম্যাচেও দারুণ কার্যকরীতা দেখিয়েছেন ক্রুস। ডর্টমুন্ড প্রথমার্ধে রিয়ালের ওপর চাপ বাড়ায়। একের পর এক সুযোগ তৈরি করে। সেভাবে গোছালো ফুটবল খেলতে পারছিল না কার্লো আনচেলোত্তির দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে টনি ক্রুসের ফ্রিকিকে আশা জাগে। এরপর তার নেওয়া কর্নারে কপাল খুলে যায় রিয়ালের। উড়ে আসা বলে কার্ভাহাল হেডে জাল খুঁজে নিলে এগিয় যায় রিয়াল। এরপর ভিনিসিয়ুস ব্যবধান বাড়ান। ৮৫ মিনিটে ক্রুসকে তুলে নেওয়া হয়। তিনি যখন মাঠ ছাড়ছিলেন তখন সমর্থকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাতে থাকেন। ক্রুসও দুই হাত উঁচিয়ে উদযাপনের ভঙ্গিতে মাঠ ছাড়তে থাকেন। ম্যাচের পর তাকে শুন্যে উড়িয়ে উদযাপন করতে থাকেন রিয়ালের ফুটবলাররা। ছয়টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতাকে অবিশ্বাস্য বলছেন ক্রুস,’এটা পাগলামির মতো লাগে। কখনোই ভাবিনি এমনটা অর্জন করতে পারব।’ চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই রিয়ালের রাজত্ব। এই রাজত্বে হানা দেওয়া সহজ কথা নয়।

ক্রুসও বলছেন, এই টুর্নামেন্টে ভিন্ন অনুভূতি নিয়েই তারা খেলেন,’এই ধরণের ম্যাচে মনে হয়, আমরা হারতে পারি না। আমরা ফাইনালে হারি না। এটার কারণ অবশ্যই খেলোয়াড়দের মান উঁচুতে কিন্তু মানসিকতা সত্যি অবিশ্বাস্য। এটা অনেক আত্মবিশ্বাস দেয়। যেটা অন্যান্য ক্লাব থেকে আলাদা করেছে।’ শিরোপা জিতে শেষ করতে না পারলে খুবই খারাপ হতো বলছেন ক্রুস,’এটা বাজে হতে পারত। চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেই শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। যদিও এই পরিকল্লনা করা কঠিন।’ ক্লাব ফুটবলের শেষটা রাঙালেন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে। ক্রুসের চাওয়া এখন নিশ্চয়ই ইউরোর মুকুট জিতে বুট জোড়া তুলে রাখার। কারণ এই একটি শিরোপাই যে তার অধরা আছে।