October 8, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 23rd, 2024, 8:26 pm

খুলনায় ভারী বর্ষণে মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

খুলনার ডুমুরিয়াকে বলা হয় মাছের স্বর্গরাজ্য। মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনে ডুমুরিয়া উপজেলার অবস্থান খুলনা জেলায় শীর্ষে। আর খুলনায় মাছের চাহিদার একটা বৃহৎ অংশ পূরণ হয় ডুমুরিয়ায় উৎপাদিত মাছ থেকে।

টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়ায় ১৪টি ইউনিয়নের ২২৬টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে মৎস্যঘেরসহ শাকসবজি ও বসতবাড়ি। এতে মৎস্য খাতে ক্ষতি আনুমানিক ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

এদিকে ডুমুরিয়ায় মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৮ হাজারের ৫৭৪ জন মানুষ। এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় গলদা, বাগদা চিংড়ি ও কার্প জাতীয় মাছ। উৎপাদিত বাগদা ও গলদা চিংড়ি খুলনা অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়ায় ১৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে ২৬ হাজার ৫৭০টি মাছের ঘের এবং ৫ হাজার ৬৩০ টি পুকুর রয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের এ সব মাছের ঘের ও পুকুর থেকে বছরে প্রায় ২৮ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে ১৮ হাজার ২০০ মেট্রিক টন সাদা মাছ। বাকি ১০ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এসব মাছের বাজার মূল্য আনুমানিক ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ছোট বড় সব মিলিয়ে ১২ হাজার ৫৩০টি ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। এসব ঘের ও পুকুর থেকে ৩ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন সাদা মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। ৪ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সাড়ে ৭ মেট্রিক টন কাঁকড়া ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়াও বন্যায় মৎস্য খাতের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৫ কোটি টাকা। প্রথম ধাপে আমরা যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি সব মিলিয়ে আমাদের উপজেলায় মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা হবে। এছাড়া বন্যা পরবর্তী মৎস্য অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক প্রথম ধাপের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কার্যক্রম চলমান।

—–ইউএনবি