জেলা প্রতিনিধি, রংপুর:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র বহাল ও স্থানান্তরের দাবিতে দুটি পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এদিকে কেন্দ্র বহাল ও স্থানান্তরের দাবিকে কেন্দ্র দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র পূর্বের স্থানে বহাল রাখার দাবিতে একটি পক্ষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, নোহালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র এক সময় ছিল তিস্তা চরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নদীতে ওই বিদ্যালয় ভেঙে যাওয়ায় ১নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র করা হয় ১ ও ৩নং ওয়ার্ডের সীমানায় অবস্থিত কে,এন,বি বিদ্যালয়ে। ওই কেন্দ্রে ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ১নং ওয়ার্ডের ভোটার ও সাবেক ইউপি সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, মমিনা খাতুন, আব্দুল ওয়াহেদ, ভোটার আনিচুর রহমান চৌধুরী, মকবুল হোসেন, আনসার আলী, মইনুল, শাহিন জানান, দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে কে,এন,বি বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে আসছি। কেন্দ্রটি ওয়ার্ডের সীমানায় হলেও ওয়ার্ডের মধ্যে খানে আছে এবং ওয়ার্ডের মোট ভোটারের তিনের দুই ভাগেরই বেশি ভোটার কেন্দ্রের পাশাপাশি। এ কেন্দ্রটি আর একটি বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। সেখানে নিলে ওয়ার্ডের সীমানা থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ভোট দিতে হবে। এতে বয়স্ক ও নারী ভোটাররা ভোট দিতে যাবে না। তাই ওয়ার্ডের মোট ভোটারের তিনের দুই ভাগের বেশি ভোটার আমরা কেন্দ্র বহাল রাখার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছি। অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডের আরেক ভোটার মনোয়ারুল ইসলাম, জাহেনুর, ইসমোতারা, রাহেলা বলেন, আগের ভোট কেন্দ্র বাদ দিয়ে নতুন যে স্কুল হয়েছে সেখানে ভোট কেন্দ্র হলে ওয়ার্ডের মধ্যে কেন্দ্রটি হবে। নোহালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মজমুল হোসেন সুরুজ ও সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সমাজ সেবক আশরাফ আলী বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ১নং ওয়ার্ডের ভোট কেএনবি বিদ্যালয়ে হয়ে আসছে। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। আর যে স্কুলে কেন্দ্র স্থানান্তরের পায়তারা করা হচ্ছে বাঁধের ধারের স্কুলে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়। ওয়ার্ডের বেশির ভাগ ভোটারের কেন্দ্র বহালের দাবির সাথে তাদের একমত। নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল বলেন, ১নং ওয়ার্ডে কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র করা হয়েছিল এবং ১নং ওয়ার্ডের ভোটাররা ৩নং ওয়ার্ডে গিয়ে ভোট দিয়ে আসতো এতদিন। নিয়ম মোতাবেক ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোট কেন্দ্র থাকার কথা। ১নং ওয়ার্ডের ১টি সরকারি স্কুল হয়েছে। ওই স্কুলে কেন্দ্র হলে ১নং ওয়ার্ড বাসী নিজ ওয়ার্ডে কেন্দ্র পাবে। এদিকে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে পূর্বের কেন্দ্র ও কেন্দ্র স্থানান্তর দাবি স্কুলটি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসার আইনুল হক, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওয়ার্ডের ভোটারগণ উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরিদর্শনকালে ওয়ার্ডবাসীর কথা শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি