নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা সংক্রমণ রোধে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকা দেওয়া শুরু করেছে সরকার। কিন্তু টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে সংক্রমণ ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার (৯ আগষ্ট) রাজধানীর গণটিকাদান কেন্দ্রে দেখা যায়, মানুষের উপচেপড়া ভিড়। নূন্যতম সামাজিক দূরত্ব রক্ষিত হয়নি। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে চলা গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ‘ধারণার চেয়ে বেশি’ মানুষের চাপ সামলাতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। সোমবার (৯ আগষ্ট) কর্মসূচির তৃতীয় দিনেও মানুষের চাপ বাড়ায় সবাইকে টিকা দেওয়া যায়নি। টিকাকেন্দ্রে আসা মানুষের তুলনায় বরাদ্দ পাওয়া টিকার পরিমাণ কম থাকায় আগ্রহী অনেককে ফিরিয়ে দিচ্ছেন তারা। ছয় দিনের এই কর্মসূচির প্রথম দুই দিনে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বরাদ্দ পাওয়া টিকা কমে আসায় কোনো কোনো এলাকায় দৈনিক ডোজের পরিমাণও কমিয়ে আনতে হচ্ছে। গত দুই দিনের মত সোমবারও (৯ আগষ্ট) ঢাকা মহানগরীর টিকাকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়ান আগ্রহীরা। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের টিকাকেন্দ্রগুলোতে দৈনিক ৩৫০ ডোজ টিকার বরাদ্দ থাকায় টিকা পাননি অনেকেই। এত মানুষ টিকা নিতে আসবেন, সেটি যে ধারণার বাইরে ছিল; তা জানান ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান। তিনি বলেন, মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। আমাদের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের চাপ। সে তুলনায় টিকার সাপ্লাই দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন
দাম বেড়েছে সবজি ও মুরগির
জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
গোপালগঞ্জ সফরে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী