October 13, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, June 7th, 2022, 8:54 pm

গরমে ঠাকুরগাঁওয়ে কদর বেড়েছে তালশাঁসের

গ্রীষ্মে ফলে ভরা মৌসুমে খেতে সুস্বাদু তালশাঁসেরও চাহিদা রয়েছে। তীব্র গরমে তালশাঁস প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। তবে দেশের অনেক জেলায় তালের চাহিদা বেশি না থাকায় তাল ছোট থাকতেই শাঁস বিক্রির জন্য এগুলো ঠাকুরগাঁওসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে নিয়ে আসে ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, তালশাঁসের চাহিদা প্রচুর থাকায় প্রত্যেক ব্যবসায়ী তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হন। এ বছরও শহরের আমতলীর মোড়ে তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার খালাতো ভাই নাদিম বগুড়া আদমদিঘি থেকে এসেছি। সেখানে আমরা প্রতি বছর তালের বাগান কিনে থাকি। বাগানে প্রায় ১৩০-১৫০টি তালগাছ থাকে। এক থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাগান কিনে তা থেকে তাল ছোট থাকতেই আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা অনুসারে বিক্রি করে থাকি। এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি। প্রতি পিস বড় তাল ৩০ টাকা ও ছোট তাল ২০ টাকা বিক্রি করছি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো।

শহরের হাজীপাড়া মহল্লার গৃহিণী ক্রেতা শাহনাজ পারভীন বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে এটা পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু ও ভালো লাগে। প্রতি পিস তাল থেকে দুই থেকে তিনটি শাঁস পাওয়া যায়। প্রতি পিস বড় তাল ৩০ টাকা ও ছোটগুলো ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর দামটা একটু বেশি।

পৌর শহরের টিকাপাড়া মহল্লার ছাত্রী সুবাহ তাহসিন বলেন, তালশাঁস আমাদের পরিবারের সকলে পছন্দ করে। প্রত্যেক আটি গত বছর ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এ বছর ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দামটা আরেকটু কম হলে আরও বেশি পরিমাণে কেনা যেত।

তালশাঁস বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী নাদিম বলেন,বেশ কয়েকদিন হলো বগুড়া থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি। বগুড়ার আদমদিঘি এলাকায় বেশ কয়েকটি তাল বাগান থেকে তাল কিনে এখানে বিক্রি করছি। পর্যাপ্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রচুর ক্রেতা সমাগমও হচ্ছে। প্রতিদিন তাল বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে ৭০০ টাকা লাভ হয়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল তালশাঁসের উপকারের বিষয়ে বলেন, এটি অনেক ভালো একটি জনপ্রিয় ফল। তালশাঁসে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তালশাঁস পানিশুন্যতা দূর করতে সহায়তা হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে, হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও তালশাঁসে ভিটিামিন এ, সি ও বি কমপ্লেক্স রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। সর্বোপরি ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তময় করে তুলতে নিয়ম করে তালের শাঁস খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।

—ইউএনবি