অনলাইন ডেস্ক :
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, ‘গাজাবাসীদের অবশ্যই অটল থাকতে হবে এবং তাদের ভূখ-ে থাকতে হবে।’ গত বৃহস্পতিবার কায়রোর প্রতি গাজায় আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের বের হতে নিরাপদ পথ দেওয়ার আহ্বান নাকচ করে দিয়ে এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মিসর ও গাজার মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং হলো উপকূলীয় ছিটমহলটি থেকে বাইরে বের হওয়ার একমাত্র পথ, যা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। হামাসের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে। আর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় এক হাজার ৫৩৭ জন নিহত এবং চার লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া গাজায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল।
ফিলিস্তিনিদের ‘বৈধ অধিকার’ নিশ্চিত করার বিষয়ে কায়রোর ‘দৃঢ় অবস্থান’ নিশ্চিত করে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, ‘মিসর এই কঠিন সময়ে চিকিৎসা ও মানবিক উভয় ধরনের সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এদিন একটি সামরিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবদেল ফাত্তাহ বলেন, ‘গাজাবাসীদের অবশ্যই অটল থাকতে হবে এবং তাদের ভূখন্ডেই থাকতে হবে।’ ২৪ লাখ লোকের ছোট্ট উপকূলীয় ছিটমহল ২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
শনিবার হামাসের হামলার পর তারা সেখানে পানি, খাদ্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ছয় দিনের বিরতিহীন ইসরায়েলি বিমান ও কামানের গোলা পুরো গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। মিসর দাতাগোষ্ঠীকে গাজার জন্য তাদের এল আরিশ বিমানবন্দরে মানবিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথ দেওয়ার আহ্বান নাকচ করে দিয়েছে দেশটি। মিসরের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজাবাসীকে বাস্তুচ্যুত করার অর্থ হবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করা।’
আরও পড়ুন
পৃথিবীর সর্বকালের উষ্ণতম দিনের রেকর্ড ভেঙেছে ২২ জুলাই
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ বিঘ্ন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
নেপালে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমান বিধ্বস্ত, ১৮ যাত্রীর মৃত্যু