October 13, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, November 30th, 2023, 8:45 pm

গাজার অবস্থাকে হিটলারের ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা : ব্রিটেনে তদন্তের মুখে অধ্যাপক

অনলাইন ডেস্ক :

গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণকে জার্মানির কুখ্যাত ‘আউশউইৎস’ ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা করে তদন্তের মুখে পড়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) এক শিক্ষক। লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে এক সমাবেশে ঐ মন্তব্য করেছিলেন ইউসিএলের নৃবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক অ্যালেক্স পিলেন। খবর রয়টার্স। ইউসিএল বলছে, তারা কোনোভাবেই ইহুদিবিদ্বেষ মেনে নেবে না। পিলেন ইউসিএলের নীতি লঙ্ঘন করেছেন কি না, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। ৫৪ বছর বয়সি পিলেনের জন্ম বেলজিয়ামে।

গত ১১ নভেম্বর প্রায় ৩ লাখ মানুষের এক সমাগমে গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণকে আউশউইৎজ ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা করে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানান তিনি। ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডকে পিলেন বলেন, মূলত এখানে আমার আসার কারণ হলো, আমি মনে করি, যে অবস্থা চলছে, তা আসলেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা মানবতার অবমাননা। গাজায় যা হচ্ছে, তা আউশউইৎসের চেয়ে খারাপ, বাগেন-বেইজেন বন্দিশিবিরের চেয়েও বাজে। এর অবস্থা দাহও ক্যাম্পের চেয়েও জঘন্য; লুবলিন ক্যাম্পের চেয়েও খারাপ।

ইসরাইলের হামলাকে মানবতার জন্য লজ্জার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আছি, কারণ আমি ব্রিটেনেই থাকি। গাজার যুদ্ধে বিবিসির অবস্থান নিয়ে আমি লজ্জিত।’ সংবাদমাধ্যমটি পক্ষপাতদুষ্ট। রাজনৈতিক একটি সংঘাতের প্রতি বিবিসি পক্ষপাতদুষ্ট। পিলেনের এই বক্তব্যের পর এক বিবৃতিতে ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে নিন্দা জানায় ইউসিএল

। ইউসিএলের প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট মাইকেল স্পেনস বলেছেন, ‘আমরা সব ধরনের ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করি এবং আমাদের কমিউনিটিকে স্পষ্ট করে দিয়েছি, ইউসিএলে এটা সহ্য করা হবে না। আমাদের কাছে আসা অভিযোগগুলো তদন্ত করছি। এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও নিচ্ছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর দিকে ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ডের ‘ওশপিয়েনসিম’ শহর দখল করে জার্মানি। পরের বছর সেখানে আউশউইৎস বন্দিশালা খোলে নাৎসি বাহিনী। জার্মান অধিকৃত ইউরোপে যারা সে সময় নিস বাহিনীর প্রভাব-প্রতিপত্তির বিরোধিতা করতেন কিংবা জাতিগত বা রাজনৈতিকভাবে ‘গ্রহণযোগ্য’ বিবেচিত হতেন না, তাদের ধরে নিয়ে ওই শিবিরে আটকে রাখা হতো। আউশউইৎস ছাড়াও পোল্যান্ডে লুবনিনসহ আরো কিছু ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়।

উত্তর জার্মানিতে বাগেন-বেইজেন ক্যাম্প ও দক্ষিণ জার্মানিতে দাহও ক্যাম্প গড়ে তোলে নাৎসি বাহিনী। এসব ক্যাম্পে জোরপূর্বক অমানবিক শ্রমে বাধ্য করা হতো। বন্দিদের কৌশলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হতো। নাৎসি বাহিনীর এসব ক্যাম্পের সঙ্গে গাজার চিত্রকে তুলনা করেই তদন্তের মুখে পড়েছেন অধ্যাপক পিলেন। তবে তার বক্তব্য, কাউকে আঘাত করলে তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।