জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ শরিফুল ইসলাম রতন ও তার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ এই হুমকি দিচ্ছেন। এ নিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সৈয়দ শরিফুল ইসলাম রতন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাই এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এবার তাকে দল(আওয়ামী লীগ) থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তাই তিনি জনগণের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে
নির্বাচন করছেন। তিনি চান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হোক। সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাঁর জয়লাভের শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
শরিফুল ইসলামের অভিযোগ, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ তাকে ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদান করছেন। তিনি(সাবেক সাংসদ) ক্ষমতার অপব্যবহার ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। যে কারণে শরিফুল ইসলাম ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
শুধু তাই নয়, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে তার(সাবেক সাংসদ) প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনাও রয়েছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও আশংকা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগকারী প্রার্থী সৈয়দ শরিফুল ইসলাম রতন আরও বলেন, তাকেসহ তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
এতে তিনি ঠিকমতো প্রচারনা চালাতে পারছেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তিনি মুঠোফোনে বলেন, শরিফুল ইসলাম রতনের কর্মী সমর্থকরা উল্টো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা ঘটাচ্ছেন। এতে তিনি দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি