গ্রাম আদালতকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা দিয়ে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এম তাজুল ইসলাম বিলটি উত্থাপন করেন এবং তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, কোনো সদস্য অনুপস্থিত থাকলে আদালত কাজ করতে পারে না।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো সদস্যের অনুপস্থিতিতে বিতর্কিত কোনো বিষয়ে ভোট হলে এবং দুই পক্ষের পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে চেয়ারম্যানের ভোট পাওয়া দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এছাড়াও, আগের আইনের কিছু উদাহরণে, ‘নাবালক’ শব্দটি ছিল, খসড়ায় তা বাদ দিয়ে ‘শিশু’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
২০১৩ সালে, গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে, সরকার ৭৫ হাজার পর্যন্ত জরিমানা আরোপের অনুমতি দিয়েছিল।
বিলের উদ্দেশ্য অনুসারে, গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয় জনগণের ছোটখাটো বিরোধের দ্রুত এবং সহজ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত হয়েছিল।
পরে, অধ্যাদেশ বাতিল করে গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ প্রণয়ন করা হয় এবং ২০১৩ সালে আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হয়।
প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে ছোটখাটো বিরোধে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ধারণা ও প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। একই সঙ্গে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সহজ ও দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেও কাজ করছে।
গ্রাম আদালত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি আধা-আনুষ্ঠানিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ