চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে ৩০ তম মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করা হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরান বিভিন্ন স্টলে পণ্য প্রদর্শন করবে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এসব তথ্য জানায় চেম্বার নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ও মেলা কমিটির উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে এ মেলায় আয়োজন করে আসছি। এ মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য প্রদর্শন করবেন। একই সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত গ্রুপ তাদের পণ্য প্রচারে বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন সাজাবেন। মেলায় আমরা বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন স্থাপন করেছি। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি আমরা মেলার উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন, মেলায় বিদেশি পণ্য প্রদর্শনের চেষ্টা আমাদের সব সময় থাকে। তবে এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। তবুও আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি দেশি পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি পণ্য রাখতে। এবার ভারত,থাইল্যান্ড ও ইরান বিভিন্ন স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ওই দিন বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মেলায় ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি গোল্ড স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল, ৩টি আলাদা জোন নিয়ে ৪০০টি স্টলে ৩০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এবারের মেলায় নিজস্ব পণ্য নিয়ে ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরান বিভিন্ন স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
মেলায় দর্শনার্থীদের সুবির্ধার্থে একটি তথ্যকেন্দ্র চালু থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশ বাহিনী তিন শিফটে বিভক্ত হয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। মেলা প্রাঙ্গণে সুদক্ষ প্রাইভেট সিকিউরিটির সদস্যরা ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মেলায় ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সবসময় মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মেলায় ফোয়ারা সম্বৃদ্ধ ১২ হাজার ৩২০ বর্গফুট জুড়ে একটি ওপেন প্লাজা রাখা হয়েছে। মেলার মাঠের উত্তর-পশ্চিম কর্ণারে পুরুষদের জন্য বিশাল জায়গাজুড়ে মসজিদ ও দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণারে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। তবে প্লে থেকে ৭ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেলার চেয়ারম্যান ও চেম্বারের পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন প্রমুখ।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম
সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অটোমেটেড সরকারি আর্থিক সেবা