October 10, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 12th, 2022, 7:02 pm

চার প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে বিধবা আমেলার দিনকাটে খেয়ে না খেয়ে

জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (ঝিনাইগাতী) :

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চার প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে বিধবা আমেলা বেগমের দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে। কারো ভাগ্যে জুটেনি সরকারি-বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা। উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের উত্তর দাড়িয়ারপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর স্ত্রী আমেলা বেগম (৯০)। আব্দুল আলী পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর। প্রায় ৩যুগ বছর পূর্বে স্ত্রীও পাঁচ সন্তান রেখে মারা যান তিনি। আমেলা বেগমের ১ ছেলে ৩ মেয়ে শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের ভরন পোষণ করতে না পেরে আমেলা বেগম ঢাকায় পারি জমায়। অন্যের বাড়িতে বুয়ার কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে ঢাকার একজন সহৃদয়বান ব্যবসায়ী আমেনা বেগমের বাড়িতে একটি ঘর নির্মান করে দেন। কিছুদিন পর আমেলা বেগম সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন বাড়িতে। বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। আমেলা বেগমের এক মেয়ে আবেদার বিয়ে হয়েছে। তিনি বলেন, তার ছোট বোন আফরোজা, দোলেনা, অজুফা ও ছোট ভাই আলী হোসেন তারা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী। তার মা বয়স এখন শতবছর ছুঁই ছুঁই। বয়সের ভারে নুয়ে পরেছেন আমেলা। বয়সের ভার ও শারীরিক অসুস্থতায় ভিক্ষাবৃত্তিও করতে পারে এখন। এতে চার প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন আমেলা বেগম। ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, দুই জনকে প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় দুইজনের কার্ড হয়নি। সামনে বাকিদের কার্ড করে দেয়া হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, স্থানীয় বাসীন্দা, আব্দুল আজিজ, আব্দুল মজিদ ও শাজাহান আলী জানান, দুঃস্থ্য এই পরিবারটিকে বাঁচাতে প্রয়োজন সরকারি, বেসরকারি ও সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তবেই মানবতার রঙে বেঁচে থাকার আশায় প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে পারবে এই পরিবারটি।