October 12, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, October 16th, 2022, 9:42 pm

চাহিদা বাড়ায় বিমানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাহিদা বাড়ায় বিমানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো। বর্তমানে চালু থাকা দুটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের বহরে মোট ২৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে চালু হতে যাওয়া এয়ার অ্যাস্ট্রাসহ মোট ৩টি বেসরকারি এয়ারলাইনসের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বেড়ে ৩০টিতে দাঁড়াবে এবং। দ্বিতীয় প্রান্তি তা ৩৪টিতে ঠেকবে। মূলত কভিড-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক রুটে ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে যাত্রী। অভ্যন্তরীণ রুটেও চাহিদা রয়েছে। ফলে প্রসারিত হচ্ছে দেশের বেসরকারি এভিয়েশন খাত। বেসরকারি এয়ারলাইনস সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর ব্যবহার করে বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো প্রতিদিন পরিবহন করছে ৫ হাজার যাত্রী। ধারণা করা হচ্ছে বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোই আগামী বছর দৈনিক যাত্রী পরিবহন করবে ৭ হাজার। বেবিচক অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলে যাত্রীসেবা বাড়াতে দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করছে। আর আগামী বছরের অক্টোবরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজও শেষ হবে। বর্তমান টার্মিনালে বছরে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ যাত্রী হ্যান্ডেল সক্ষমতা থাকলে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হওয়ার পর তা বেড়ে ২ কোটি ২০ লাখে পৌঁছাবে। ওসব সুযোগকে কাজে লাগাতে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি নতুন নতুন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আকাশপথের ব্যবসা ও ফ্লাইট কার্যক্রম বাড়াতে হলে বহরে নতুন নতুন উড়োজাহাজ সংযোজনের বিকল্প নেই। ওই লক্ষ্যে সংস্থাগুলো বিমান বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
সূত্র আরো জানায়, অভ্যন্তরীণ রুটে কার্যক্রম চালুর অপেক্ষায় থাকা নতুন বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার অ্যাস্ট্রা বহরের প্রথম এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ ইতোমধ্যে দেশে এনেছে। শিগগিরই একই মডেলের আরো ৩টি উড়োজাহাজ আনা হচ্ছে। তাছাড়া চাহিদা বাড়ায় দেশের বাকি দুই বেসরকারি এয়ারলাইনসও তাদের বহর সম্প্রসারণের কার্যক্রম চূড়ান্ত করেছে। সব মিলিয়ে আগামী বছরের মধ্যে ৩ বিমান সংস্থার বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো ১১টি উড়োজাহাজ।
এদিকে এয়ার অ্যাস্ট্রা বিগত ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি ও ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন জমা দেয়। ইতোমধ্যে সংস্থাটি এনওসি (অনাপত্তি সনদ) পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের ৪টি উড়োজাহাজ লিজ নিয়েছে। তাছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস তাদের বহরে আগামী বছরের মধ্যে আরো ৭টি উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যাচ্ছে। তার মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৩টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ উড়োজাহাজ। বর্তমানে এয়ারলাইনসটির বহরে ১৬টি উড়োজাহাজ রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৭টি এটিআর ৭২-৬০০। ওসব উড়োজাহাজ দিয়ে বর্তমানে সংস্থাটি সব অভ্যন্তরীণসহ আন্তর্জাতিক রুট সিঙ্গাপুর, চেন্নাই, মালে, গুয়াংজু, কুয়ালালামপুর, দোহা, শারজাহ, দুবাই, মাস্কাট ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আগামী বছর পর্যায়ক্রমে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হলে এয়ারলাইনসটির ওই রুটগুলোর ফ্লাইট সক্ষমতা বাড়াবে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস আগামী ২ বছরের মধ্যে লন্ডন, রোম, আমস্টারডামসহ ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য এবং ২০২৫ সালের মধ্যে নিউইয়র্ক ও টরন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সেজন্য এয়ারবাস ৩৩০ এবং এয়ারবাস ৯০০ মডেলের উড়োজাহাজ সংগ্রহের লক্ষ্যে বিভিন্ন উড়োজাহাজ কেনাবেচা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তাছাড়া বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ারের বহরে বর্তমানে ৭টি এটিআর ৭২-৫০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরীণের পাশাপাশি ঢাকা-কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ফ্লাইট পরিচালনা প্রসঙ্গে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লুৎফর রহমান জানান, শিগগিরই শারজাহ ও সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া আসন্ন শীতকালীন সূচিতে ঢাকা-দিল্লি রুটের ফ্লাইট চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি বহরে নতুন উড়োজাহাজগুলো যুক্ত হলে ধারাবাহিকভাবে দেশের প্রধান শ্রমবাজার এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে ফ্লাইট সক্ষমতা বাড়ানো হবে।