October 11, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, July 28th, 2023, 8:49 pm

চীনে টাইফুন ডকসুরির তান্ডব

অনলাইন ডেস্ক :

টাইফুন ডকসুরির তান্ডবে চীনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে তীব্র ঝড় ও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে, ঝড়ো বাতাসের তান্ডবে গাছপালার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে আগুন লেগে যায়। বিরূপ আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে কলকারখানা ও বিপণীবিতানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রাণঘাতী টাইফুন মেরান্তির পর সবচেয়ে শক্তিশালী দ্বিতীয় টাইফুন শুক্রবার (২৮ জুলাই) সাগর থেকে ফুজিয়ানে উঠে আসে। ডকসুরির কারণে ফুজিয়ানের স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং উপকূলীয় তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে টাইফুন মেরান্তির তান্ডবে প্রদেশটিতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে ডকসুরির বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টা প্রতি ১৩৭ কিলোমিটার। চীনের আবাহওয়া প্রশাসনের (সিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, শিয়ামেন, শানঝৌ ও পুতিয়ানে ঘণ্টাপ্রতি বৃষ্টিপাত ৫০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে। শিয়ামেনের বাসিন্দা চুয়াং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আজ সকালে পুরো শিয়ামেনের কেউ কাজে যায়নি। রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই, কারাখানা ও মার্কেটগুলো সব বন্ধ। এর আগে মেরান্তির তান্ডবের কারণে এবার সবাই আতঙ্কিত হয়ে আছেন বলে মনে হচ্ছে।” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ২০ লাখ বাসিন্দার শহর জিয়ানজিয়াংয়ে বৈদ্যুতিক তারগুলোতে স্পার্ক হচ্ছে ও সেগুলো থেকে আগুন ধরে যাচ্ছে। শানঝৌতে বড় গাছ উপড়ে রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছে।

এক ভিডিওতে নেপথ্যে একজন নারী কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, “অনেক গাছ পড়ে গেছে। কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। এটা একট বিপর্যয়। এটি ভয়ানক।” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে বৃষ্টির পানি যেন অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতে ঢুকে পড়তে না পারে সেজন্য জিয়ানজিয়াংয়ের বাসিন্দাদের অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে দেখা গেছে। জিনজিয়াং ও শানঝৌর কিছু এলাকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে চীনে আঘাত হানা দ্বিতীয় টাইফুন ডকসুরি। এটি ফুজিয়ানের পর উত্তর দিকে এগিয়ে গিয়ে দেশটির আরও ১০টি প্রদেশে ভারি বৃষ্টির কারণ হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।

এটি ক্রমাগতভাবে উত্তরপশ্চিম দিক মুখে এগিয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে সিএমএ জানিয়েছে। চীনে উপস্থিত হওয়ার আগে ডকসুরি ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানেও তান্ডব চালিয়েছে। এর প্রভাবে দেশদুটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার কাছে ঝড়ো বাতাসের মধ্যে একটি ফেরি উল্টে যাওয়ার পর ডুবে গিয়ে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যু সহ চলতি সপ্তাহে ডকসুরি ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করার সময় প্রায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।