অনলাইন ডেস্ক :
চীনজুড়ে ফাঁকা পড়ে রয়েছে কোটি কোটি বাসযোগ্য অ্যাপার্টমেন্ট। এসব অ্যার্টমেন্ট চীনের ১৪০ কোটি মানুষকে দিয়েও পূরণ করা যাবে না। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) এর সাবেক কর্মকর্তা হে কেং শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর সিএনএনের। দেশটির সংকট নিয়ে এই বক্তব্যকে বিরল বলে দাবি করছে মার্কিন গণমাধ্যমটি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাতে প্রতিবেদনে মার্কিন গণমাধ্যমটি জানায়, চীনের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ আবাসন খাত। তবে, ২০২১ সালে এই খাত মুখ থুবড়ে পড়ে।
বছরটিতে দেশটির আবাসন খাতের জায়ান্ট এভারগার্ডেন গ্রুপ ঋণের জেরে দেউলিয়া হয়ে যায়। এখনও সংকটে ভুগছে দেশটির আবাসন খাতের অন্যতম কোম্পানি কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংস। বিক্রি কমে যাওয়ায় তাদেরও ঋণের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, আগস্টের শেষ পর্যন্ত অবিক্রিত রয়েছে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ স্কয়ার মিটার বা ৭০০ কোটি স্কয়ার ফুট ফ্লোর। রয়টার্সের হিসেব অনুযায়ী, এর মানে দাঁড়ায় ৭২ লাখ তৈরি বাড়ি অবিক্রিত বা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। প্
রতিটি বাড়ির গড় আয়তন ৯৭০ স্কয়ার ফুট করে ধরেছে রয়টার্স। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এনবিএসের দেওয়া তথ্য অস্পূর্ণ। কারণ অনেক অ্যাপার্টমেন্ট বাড়ি বিক্রি হলেও অর্থ প্রবাহ কম থাকায় তার পুরো অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না অনেক ক্রেতা। আবার ২০১৬ সালের শেষের দিকে দাম বাড়াতে অনেক ‘ফটকাবাজ’ যে বাড়ি কিনেছিল, সেগুলো এখনও খালি পড়ে রয়েছে।
এনবিএসের সাবেক উপপ্রধান ৮১ বছর বয়সী হে কেং বলেন, ‘বর্তমানে কতগুলো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট খালি পড়ে রয়েছে? প্রতি বিশেষজ্ঞই আলাদা আলাদা তথ্য দিচ্ছেন। তবে, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের ধারণা, এখনও যতগুলো বাড়ি খালি রয়েছে, তা পূরণে ৩০০ কোটি মানুষের প্রয়োজন।’
চীনের সংবাদ সংস্থা ‘চায়না নিউজ সার্ভিস’ থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে হে কেং বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের ধারণা হয়তো একটু বেশি। তবে, ১৪০ কোটি মানুষ সম্ভবত সেগুলো পূরণ করতে পারবেন না।’ বিশ্বের দ্বিতীয় ও এশিয়া বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় কমেছে। তবে, দেশটির অর্থনীতি সঠিক পথে হাঁটছে বলে দাবি ক্ষমতাসীন সরকারের। কিন্তু, সাবেক সরকারি কর্মকর্তার মন্তব্য সরকারের সম্পূর্ণ বিপরীত।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু