October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, June 4th, 2022, 1:44 pm

চুয়াডাঙ্গায় অবহেলায় পড়ে আছে ভারতের উপহারের আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স

চুয়াডাঙ্গায় ভারত সরকারের দেয়া উপহারের অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় পড়ে আছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভেতরে। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি বুঝে নেয়ার পর ৬ মাস পার হয়ে গেলেও চালু হয়নি জীবনরক্ষাকারী এই অ্যাম্বুলেন্স সেবা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, দেশের অন্যান্য হাসপাতালের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত সরকার উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত একটি অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছিল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। সেদিনই অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনো হাসপাতালে আইসিইউ সেবা চালু নেই। ছিল না একটিও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স। করোনা মহামারির সময়ে গত বছরের ৭ আগস্ট সাজেদা ফাউন্ডেশন নিজস্ব জনবলে ও যন্ত্রপাতি নিয়ে অস্থায়ীভাবে সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিট চালু করে। তবে জেলায় করোনা মহামারির প্রকোপ কমতে শুরু করায় চুক্তি শেষ হওয়ায় ফাউন্ডেশনটি আইসিইউ সেবা বন্ধ করে দেয়। তবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রতিনিয়তই মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যে কারণে এ জেলার একমাত্র আইসিইউ সুবিধার অ্যাম্বুলেন্সটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকেই ঝুঁকি নিয়ে অসুস্থ রোগীদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় অনেক প্রাণহানির ঘটনার সর্ম্পকে জানা গেছে। এ অবস্থায় এ জেলার সাধারণ মানুষ অত্যাধুনিক ও জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, রোগী বহনে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও জনবলের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। লাইফ সাপোর্ট না পাওয়ায় সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সে অনেক সময় কার্ডিয়াক রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। লাইফ সাপোর্টযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সটির সেবা চালু হলে বিপদ অনেকাংশে কমে আসবে।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট চালু করার বিষয়ে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আইসিউই ইউনিট চালু হলে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটিও সচল হবে বলে আশা করছেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হাসান বলেন, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে রয়েছে। তবে সেটি সচল করে সেবা দিতে প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসকের প্রয়োজন। জনবল না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করা যাচ্ছে না।

তবে অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে থাকায় তিনিই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে সিভিল সার্জন জানান।

—-ইউএনবি