December 3, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, February 19th, 2022, 7:58 pm

ছোটদের ‘খেলার’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসল রাইফেল!

অনলাইন ডেস্ক :

বাচ্চাদের খেলনা, তাও আবার আসল রাইফেল! সম্প্রতি জেআর-১৫ নামে একটি রাইফেল বাজারে এনেছে মার্কিন অস্ত্র নির্মাণকারী একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দেখায়, অনুভবে এবং অপারেট করার ক্ষেত্রে ঠিক বাবা-মার বন্দুকের মতো। ছোটদের শুটিং শেখানোর জন্য ডাব্লিউইইওয়ান নামের ওই অস্ত্র তৈরির সংস্থাটির এমন কা-ে নিন্দার ঝড় বইছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটির এই সেমি-অটোমেটিক মডেল, এআর-১৫ রাইফেলটি দিয়ে বহু হামলা ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র নির্মাণ করা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হচ্ছে। সেকারণে অস্ত্রের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন সংস্থাটির বিরুদ্ধে। বাচ্চাদের জন্য তৈরি রাইফেলটির মডেল-জেআর-১৫, যার দৈর্ঘ্য ৩১ ইঞ্চি (৮০ সেন্টিমিটার) এবং ওজন প্রায় আড়াই পাউন্ড (এক কিলোগ্রাম)। ছোটদের এই খেলনা বন্দুকে রাখা যাবে পাঁচ থেকে ১০ রাউন্ড ক্যালিবার বুলেট। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এটি বাজারে আনার তথ্য প্রকাশ করা হয় এবং দাম রাখা হয়েছে ৩৮৯ মার্কিন ডলার। বড়দের ব্যবহৃত এআর-১৫ মডেলের সামরিক স্টাইলের অস্ত্রটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বহু বার হামলা হয়েছে, বিশেষ করে স্কুলে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে আত্মরক্ষার্থে অস্ত্রের মালিকানার অধিকার স্বীকৃত রয়েছে। আর এই আইনের ফায়দা নিয়ে ঘটছে অপরাধমূলক কর্মকা-। নিউটাউন অ্যাকশন অ্যালায়েন্স, নামের একটি গ্রুপ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের সীমারেখা টানার জন্য বরাবরের মতো কঠোর পদক্ষেপের কথা বলে আসছে। বন্দুক লবি ও অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের নিন্দা জানিয়ে আসছে তারা। তাদের অভিযোগ মুনাফা লাভের জন্য অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এমন কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিউটাউনের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে এক তরুণের হামলায় ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হন। ২০১৭ সালে লাস ভেগাসে ৫৮ জন নিহত হন এই আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে। ২০১৮ সালের পার্কল্যান্ড হাই স্কুলে একই অস্ত্রের গুলিতে মারা যান আরও ১৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক হামলায় নিহতদের তথ্য সংরক্ষণের সূত্র বলছে, ২০২১ সালে আগ্নেয়াস্ত্র হামলায় ৪৫ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৫শ জনই শিশু।