অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, জলবায়ূ পরিবর্তনে মানবিকতা জাগ্রতের এখনই সময়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন। তিনি বিশ্ব নেতাদের আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা একটি জটিল প্রক্রিয়া পার করছি। পৃথিবীতে যেভাবে আমরা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছি তার দায় আমাদের নিতে হবে। চলতি বছরের নভেম্বরে জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের নিয়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের আগেই বরিস জনসন জাতিসংঘে জলবায়ূ নিয়ে আলোচনা করেন। জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের চাপ দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিসন জনসন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেসনে যোগ দিয়েছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আপনি যদি পৃথিবীতে মিলিয়ন বছর বেঁচে থাকার কল্পনা করেন তাহলে ৮০ বছর বয়সকে আমাদের ১৬ ভাবতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা সেই সময় অতিবাহিত করছি, কীভাবে আমাদের গাড়ি চালাতে হবে এবং কীভাবে ক্যানের মুখ খুলে পান করতে হবে। কিন্তু তারপরও আমরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছি না। এটা শুধু আমাদের জন্য হুমকি নয় পÍর্বতীদের জন্যও হুমকি স্বরূপ। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেসনে দেওয়া বক্তৃতায় জলবায়ূ মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে তিনি বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে- ১. পৃথিবী থেকে ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমানো। ২. কারবণ নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। ৩. কয়লা, গাড়ি, কাঠ থেকে যে কারবন নিঃসরণ হয় তা ২০৩০ সালের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে সব দেশের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া। ৪. ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলো কয়লা ব্যবহার বন্ধ করবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত দেশগুলো। ৫. চীনের অভ্যন্তরীণ কয়লা ব্যবহার বন্ধ করা ৬. ২০৪০ সালের মধ্যে গাড়ি থেকে কারবন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। ৭. সমস্ত দেশই পাকিস্তানের পদ্ধতি অনুসরণ করবে। যারা ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছে। ৮. এ কাজে আর্থিক সহযোগিতা করবে বিশ্ব ব্যাংক এবং এইএমএফ।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২