October 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, July 29th, 2022, 10:02 pm

জ্বালানি সঙ্কটে আমন উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তীব্র হচ্ছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এবার আমন ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দিয়েছে। কারণ জ্বালানি সঙ্কটে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে লোডশেডিংয়ের অভিঘাতে বর্তমানে কৃষি সেচ ব্যবস্থাপনায় টান পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। সামনে সার সংকটেরও শঙ্কা রয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহে বিদ্যুৎ সঙ্কটে সেচের পানি দিতে না পারায় অনেক বীজতা মরতে বসেছে বীজতলা। দেশের পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে সেচকাজে কৃষকের একমাত্র ভরসা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডি) গভীর নলকূপ। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে এখন পানি মিলছে না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ৮৪ লাখ হেক্টর। তার মধ্যে ৫৯ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে রোপা আমন চাষ হয়। এবার ৫৯ লাখ ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতেরোপা আমন চাষের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখ ৮৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপণ হয়েছে। আর লোডশেডিং দীর্ঘায়িত হলে চলতি মৌসুমে সারাদেশেই আমন চাষ হুমকির মুখে পড়বে। তাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতের আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।
সূত্র জানায়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিকে লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখা জরুরি। ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রে খরচ বেশি হওয়ায় কৃষক ও মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেজন্য দ্রুত ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্র অপসারণ করে পরিবেশবান্ধব সৌরশক্তিচালিত সেচযন্ত্রে রূপান্তর জরুরি। যদিও প্রযুক্তি বিদেশি হওয়ায় সোলার প্যানেলের ব্যয় অনেক বেশি। তবে স্বল্পমূল্যে প্যানেল দেয়ার বিষয়ে এ খাতের উদ্যোক্তাদের ভাবতে হবে। সেচে সৌরশক্তির পাশাপাশি খালবিল কাজে লাগানো প্রয়োজন।
সূত্র আরো জানায়, অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করেও সরকারি সার কারখানায় ইফরিয়া সারের প্রত্যাশিত উৎপাদন হচ্ছে না। গ্যাসের দাম বাড়ায় চলতি মাসে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ইন্ডাস্ট্রি (সিইউএফএল) বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে কৃষিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ যমুনা ও চট্টগ্রাম সার কারখানা দুটিতে গ্যাস সংকটের কারণে সার উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আর স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে ইউরিয়া সার আমদানিতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে এবং সারে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে। তাছাড়া গ্যাস সঙ্কটের কারণে সার কারখানা বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।
এদিকে আমন চাষ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম জানান, জুলাই-আগস্ট আমন ধান রোপণের মৌসুম। এবার ৫৯ লাখ ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। কিন্তু জুলাই শেষ হতে চললেও মাত্র ৩ লাখ ৮৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ হয়েছে।