November 2, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, January 2nd, 2023, 9:11 pm

ঝিনাইদহে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজন, দর্শকদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস

গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজন এখন বিরল ঘটনা। একসময় দেশের আনাচে কানাচে ঢাক ঢোল পিটিয়ে গানের তালে তালে আয়োজন করা হতো আনন্দময় এই উৎসবের। বেজে উঠতো কাসার ঘন্টা। তালে তালে চলতো লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাপিয়ে পড়তেন লাঠিয়ালরা। তবে সেই ঐতিহ্য এখনো হারিয়ে যায়নি ঝিনাইদের মানুষদের কাছে।

এমনি আয়োজন করেছে ঝিনাইদহের শৈলকূপার বিনোদনেপ্রেমীরা। দর্শকরা খেলার দৃশ্য দেখে আনন্দে ফেটে পড়ছেন। সেই সঙ্গে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে লাঠিয়ালদের।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মনোমুগ্ধকর লাঠি খেলা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ।

রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের আয়োজনে এমন উৎসব হয়ে গেল ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল মাঠে।

যা দেখতে ভীড় করেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাঠির এই কসরত দেখে মুগ্ধ হয় দর্শকরা।

শহরের কাঞ্চননগর থেকে রেখা দাস বলেন, আমি লাঠিখেলার কথা শুনেছি কিন্তু কোনোদিন দেখিনি।

আজ দেখলাম অনেক ভালো লাগছে দেখতে।

শহরের উদয়পুর এলাকার বিজয় হোসেন বলেন, গ্রামে লাঠিখেলা হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু শহরে তো লাঠিখেলার আয়োজন করা হয় না। নতুন বছর উপলক্ষে রবিবার লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়েছে শুনে এলাম।

দেখতে অনেক ভালো লাগছে।

একই এলাকার রানা আহম্মেদ বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই ধরনের আয়োজন প্রতি বছর করা দরকার।

আজ এখানে আয়োজন করা হয়েছে এ জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকা বলেন, বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠিখেলা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমরা চেষ্টা করছি এটি ধরে রাখতে।

সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে এই এতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে আয়োজক ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এম হারুন অর রশিদ বলেন, এ বছর থেকে আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুরু করেছি হারানো এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে। আমরা এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে।

সেই সঙ্গে শহরের মানুষ যেন আনন্দ উপভোগ করতে পারে।

দিনভর খেলায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১৫টি লাঠিয়াল দলের ৬৫ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়।

খেলা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

—-ইউএনবি