নিজস্ব প্রতিবেদক :
টানা তিন দিন দেশের উত্তর প্রান্তের হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রবিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, গত তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রবিবার (৯ জানুয়ারি) ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার (৮ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় রাতে ও দিনের তাপমাত্রায় কিছুটা তারতম্য হলেও শীতের প্রকোপ কমছে না। ফলে শীতার্ত অসহায় ছিন্নমূল দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঘনকুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে জেলাবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, রাতে কুয়াশা বৃষ্টি হতেও দেখা গেছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। শীতের প্রকোপে কারণে অনেকে আবার কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। রাতে ও সকালে শহরের রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। কোন কোন দিন দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না।
পাথর শ্রমিক, চা বাগান শ্রমিক, বালু শ্রমিক, দিনমজুর ও কৃষি শ্রমিকসহ এ জেলায় প্রায় তিন লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষের বসবাস। জেলার ৫ উপজেলায় ও ৩টি পৌরসভায় সরকারিভাবে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় নগন্য। এ কারণে শীতার্ত অসহায় মানুষ শীতবস্ত্রের জন্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিড় করছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, চলতি বছর জেলায় প্রায় ৩৪ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দ পেয়েছি। এসব শীতবস্ত্র উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শীতার্ত মানুষদের বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আরও শীতবস্ত্রের জন্য চাহিদা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক