অনলাইন ডেস্ক :
ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্তও ১-২ গোলে পিছিয়ে ছিল বার্সেলেনা। মনে হচ্ছিল, নিজেদের হুয়ান গাম্পার ট্রফিটা বুঝি এবার হাত ছাড়াই হতে যাচ্ছে বার্সার। কিন্তু না, নিজেদের হুয়ান গাম্পার ট্রফিটা শেষ পর্যন্ত নিজেদের ঘরেই রেখে দিয়েছে কাতালন জায়ান্টরা। বদলি হিসেবে নামা ১৬ বছরের তরুণ লামিন ইয়ামালের জাদুতে শেষ ১০ মিনিটে ৩ গোল করে জাভি হার্নান্দেজের বার্সেলোনা মৌসুম শুরু করল ট্রফি জিতেই। ইংলিশ ক্লাব টটেনহামকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বার্সা হুয়ান গাম্পায়ার ট্রফি জিতল টানা ১১তম বারের মতো। সেই মেসি-নেইমারদের আমল থেকেই হুয়ান গাম্পার ট্রফিতে একচ্ছত্র রাজত্ব বার্সেলোনার। মৌসুমসূচক ম্যাচটার আয়োজক বার্সেলোনাই।
২০১২ সালে ইটালিয়ান ক্লাব সাম্পদোরিয়ার কাছে ০-১ গোলে হারের পর থেকেই ট্রফিটা জিতে আসছে তারা। শঙ্কা জাগলেও ইয়ামাল জাদুতে এবার তার ব্যতিক্রম হলো না। গত মৌসুমে বার্সেলোনা মূল দলের হয়ে একটা ম্যাচ খেলেই ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটা খোদাই করে নিয়েছেন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ তরুণ ইয়ামাল। মরক্কান বাবা ও ইকুটোরিয়াল মায়ের ঘরে জন্ম নেওয়া ইয়ামালই বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে লা লিগার ম্যাচ খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার। সেই ইয়ামাল পরশু দ্বিতীয় বারের মতো বার্সার মূল দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। তবে শুরুর একাদশে নয়, ৮০ মিনিটে তিনি মাঠে নামেন এরিক গার্সিয়ার বদলি হিসেবে। তিনি যখন নামেন, বার্সা তখনো ম্যাচে ১-২ গোলে পিছিয়ে।
ইয়ামাল মাঠে নামার পরই ভোজবাজির মতো বদলে যায় মাঠের চিত্রপট। তিনি নামার এক মিনিট পরই বার্সেলোনা পেয়ে যায় সমতাসূচক গোল। বার্সাকে সমতায় ফেরান আরেক বদলি খেলোয়াড় ফেরান তোরেস। ঠিক ৯০ মিনিটে বার্সাকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন আনসু ফাতি। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে টটেনহামের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়ে বার্সার জয় নিশ্চিত করেন আবদেসসামাদ এজ্জালজুলি। ইয়ামাল নিজে গোল পাননি একটিও। তবে শেষ ১০ মিনিটের ঝড়ে বার্সার আদায় করা ৩ গোলের জাদুর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ইয়ামালেরই।
ফেরান তোরেসের সমতা ফেরানো গোল এবং আনসু ফাতির এগিয়ে দেওয়া গোল দুটি বানিয়ে দিয়েছেন তিনিই। তার চেয়েও বড় কথা, ইয়ামাল মাঠে নামার পরই অন্য চেহারায় ধরা দেয় বার্সেলোনা। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডভস্কি। তবে ২৪ ও ২৬ মিনিটে জোড়া গোল করে টটেনহামকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন অলিভিয়ের স্কিপ। বার্সা শত চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারছিল না। অবশেষে ইয়ামাল নেমে ম্যাচের চিত্রনাট্যই পালটে দিয়েছেন। ১৬ বছরের তরুণ পারফরম্যান্স মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০০৫ সালের সেই তরুণ লিওনেল মেসিকে!
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা